আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতায় গরম কাপড়ের দোকানে শীতার্তদের ভীর

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, বিকাল ০৭:৩১

Advertisement Advertisement

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: হিমালয় কন্যা নামে পরিচিত দেশের উত্তরের জেলাগুলির মধ্যে ঠাকুরগাঁও অন্যতম। গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে পুরো জেলা। সূর্যের দেখা মিলছেনা বললেই চলে। দুপুরের পর কোন কোন দিন সূর্য উঠলেও থাকছে কম তাপমাত্রা। এতে করে সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষজন বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। তাই শীতের সাথে এখানকার গরম কাপড়ের দোকান গুলিতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতার্ত মানুষের ভীর।

এ অবস্থায় গরম কাপড়ের দোকানগুলিতে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। তবে সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও বেশি চাইছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

কয়েকদিনে ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যাদের  মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রতিদিন রাত ৮ টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো। শীতে উষ্ণতার জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতবস্ত্রের পুরোনো কাপরের দোকানগুলোতে ভীর করছে সাধারণ মানুষ।

পৌর শহরের রোড যুব সংসদ মাঠের গরম কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ও শিশুরা মিলে ভীড় করছেন পছন্দমত শীতের কাপড় কিনতে। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার এমনকি ১০ হাজার টাকা দামের কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে সেখানে।

শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের শীতের শুরুর দিকে হর্কাস মার্কেট বসলেও জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সেটি আর বসছে না। ফলে ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভীর হচ্ছে বেশি।

রোড যুব সংসদ মাঠে কাপড় কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে ভেবে এখানে নিজের জন্য এবং পরিবারের মানুষজনের জন্য প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। ভাল মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায় তবে কাপড়ের দাম গত বারের চেয়ে অনেক বেশি।

ফারুক নামে এক ক্রেতা বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার কাপড় প্রতি ১৫০-২০০ টাকা দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মতো শ্রমিক ও গরিব মানুষের আয় তো আরও কমেছে। সব পাশেই আমাদের সমস্যা।

গরম কাপড় ব্যবসায়ি রমজান জানান, এ বছর ভাল মানের শীতের কাপড়ের দোকান বসেছে। ক্রেতারা উন্নত মানের যাবতীয় কাপড় সংগ্রহ করতে পারছেন এবং এখনকার মত শীত থাকলে বেচা কেনাও আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি। তবে তিনি গতবারের তুলনায় এবার তেমন বেশি কাপড়ের দাম বারেনি।

শীতে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় কাজে যোগদান করতে না পেরে অসহায় হয়ে পরছেন তারা।

জেলা প্রশাসন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কিছু স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

তবে শীত যত বাড়বে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তর ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ আরো বাড়বে বলে আশা এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষদের।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, ইতিমধ্যে নগদ অর্থ ও ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা সংশ্লিষ্টদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত কিছু শীতবস্ত্র রয়েছে সেগুলো সেগুলো দ্রæত সময় শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে। শীতে এই অঞ্চলের নিম্ন ও দরিদ্র মানুষরা অনেক কষ্ট পান। এবার যেন তারা শীতে কষ্ট না পান সেজন্য জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি তাদের পাশে থাকবো।

মন্তব্য করুন


Link copied