আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুর্নবহালসহ তিনদফা দাবীতে নীলফামারীতে মানববন্ধন

রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, বিকাল ০৫:০১

Advertisement Advertisement

স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ পিলখানাসহ চাকুরীচ্যুত দেশের সকল বিডিআর সদস্যদের সকল সুবিধাসহ চাকুরীতে পুর্নবহাল, দীর্ঘ ১৬বছর ধরে জেলেবন্দি নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবীতে নীলফামারীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার(১২ জানুয়ারী) দুপুরে জেলা শহরের চৌরঙ্গি মোড়ে চাকুরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি অংশ নেন। 
চাকুরীচ্যুত বিডিআরের হাবিলদার জোবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানবন্ধন সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপাহি সাদেকুল ইসলাম।বক্তব্য দেন সন্তোষ কুমার, আব্দুল আলিম, শামসুজ্জোহা, কাশিমপুর কারাগারে বন্দি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী রোজিনা খাতুন ও তার মেয়ে রেবেকা রহমান এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মোর্শেদ আমান বক্তব্য দেন। 
কাশিমপুর কারাগারে বন্দি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বলেন, মামলা থেকে খালাশ পেয়েও আমার স্বামী কারাগারে বন্দি হিসেবে রাখা হয়েছে। আজো মুক্তি পাইনি। আমার স্বামীর কোন দোষ ছিলো না। ঘটনার সময় আমার মেয়ের বয়স ছিলো ১১মাস। আজ মেয়ের বয়স ১৬বছর। মেয়ে তার বাবাকে একদিনের জন্য দেখতে পাইনি। 
চাকুরীচ্যুত আব্দুল আলিম বলেন, চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্যরা করুন দিনাতিপাত করছেন। কেউ রিকসা চালান, কেউ শ্রমজীবী হিসেবে দিন কাটাচ্ছেন। আর কেউবা কিছুই করতে পারেন নি আদৌও। আমরা চাই, স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মধ্য দিয়ে বিডিআর হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার হোক এবং জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হোক। 
বলা হয়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার এই হত্যাকান্ড। কর্মসুচিতে তিনদফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবি সমুখ হলো (১) পিলখানায় নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার ৫৭ জন সেনা অফিসার সহ ৭৪ জন হত্যাকান্ডের পেছনে দায়ী ব্যক্তিবর্গ এবং নেপথ্যের নায়কদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং যে সকল বিডিআর সদস্যর সাজার মেয়াদ শেষ ও খালাস প্রাপ্ত তাদের মুক্তির দাবী। 
(২) প্রহসনের ১৮টি স্পেশাল কোর্টের মাধ্যমে গণহারে গ্রেপ্তার করে যাদেরকে অন্যায়ভাবে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে তাদের সবাইকে সরকারি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা (যেমন: রেশন, বেতন ভাতাদি, পদোন্নতি। সহ পুণরায় চাকুরীতে পূনর্বহাল বা যোগদান করাতে হবে।
(৩) তদন্ত কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং নির্ভয়ে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ২ এর (ঙ) ধারা অবশ্যই বাদ দিতে হবে। 

মন্তব্য করুন


Link copied