রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের পীরগাছায় হিজবুত তাওহীদের কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় প্রায় ১৫টি মোটরসাইকেল। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পারুল ইউনিয়নের নাগদাহ সিদাম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হিজবুত তাওহীদের প্রায় ৪০ জন কর্মী সেখানে একটি গোপন বৈঠক করছিল। বৈঠকের খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাদের বাধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং মুহূর্তেই তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষ চলাকালে হিজবুত তাওহীদের চার কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং আরও দুই কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত চারজনকে তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয় এবং ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীসহ আরও দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
এলাকাবাসীর দাবি, হিজবুত তাওহীদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হোক এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যদিকে, আটক ব্যক্তিদের স্বজনরা দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে এবং দুই নারীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমন বলেন, মঙ্গলবার হিজবুত তাওহীদের একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেই সমাবেশ ঘিরেই এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।