আর্কাইভ  শনিবার ● ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ● ১০ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৫ অক্টোবর ২০২৫
পদত্যাগ করিনি, সরকার গঠন পর্যন্ত এনসিপির সঙ্গেই থাকব: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

পদত্যাগ করিনি, সরকার গঠন পর্যন্ত এনসিপির সঙ্গেই থাকব: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

উপদেষ্টা পরিষদে বিদায়ের সুর!

অন্তর্বর্তী সরকার
উপদেষ্টা পরিষদে বিদায়ের সুর!

শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১

শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১

জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হবে না: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হবে না: জি এম কাদের

খরায় ফাটছে জমি, নলকূপেও মিলছে না পানি

বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫, দুপুর ০২:২৮

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: খরায় নীলফামারীতে সেচ সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। জেলার কিছু অঞ্চলে ধানের জমিতে ফাটল দেখা দিয়েছে, আর পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েল থেকেও সহজে পানি মিলছে না।

শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতেও সমস্যা হচ্ছে। উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

সরেজমিন জেলার বিভিন্ন গ্রামে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জমিতে চাষ করা হয়েছে বোরো ধান। সেচ না থাকায় জমিতে ফাটল ধরেছে। এর সঙ্গে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েল থেকে মিলছে না পানি। বাসিন্দারা অনেকে দূর থেকে পানের পানি সংগ্রহ করছেন। যদিও কেউ কেউ গভীরে সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে পানির ব্যবস্থা করেছেন।  

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, গত বছর এই সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ ২৪ মিলিমিটার হলেও চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৫ মিলিমিটার। তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।  

তিনি বলেন, বাড়তি তাপমাত্রা এবং বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সেচে সমস্যা দেখা দিয়েছে। খাবার পানিও সহজে মিলছে না টিউবওয়েল থেকে। জমিতে সহজে সেচ দিতে না পারা ও খাওয়াসহসহ ব্যবহারিক পানি না পাওয়ায় বিপাকে চাষিরা।

জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুর থেকে বাসিন্দারা জানান, তাদের উপজেলায় সেচ ও পানের পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ সময় বোরো জমিতে পানি থাকা খুবই প্রয়োজন।  

স্থানীয়রা জানান, চৈত্রের এই সময়ে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি। খেত-খামারে কৃষকদের কাজকর্মে হাঁসফাঁস অবস্থা। রিকশা, ভ্যানচালকসহ  শ্রমজীবীরা অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠেন। বৈশাখ শুরু হওয়ার আগেই তাপের কারণে মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে।

কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় কারণে সেচের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য কৃষককসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি। নীলফামারীতে এবার ৮১ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied