আর্কাইভ  বুধবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৫ ● ৭ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের আরেক উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ৬ রোগী

রংপুরের আরেক উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ৬ রোগী

সাংবাদিকের ফোন নিয়ে ভিডিও ডিলিট করলো অধ্যক্ষ

সাংবাদিকের ফোন নিয়ে ভিডিও ডিলিট করলো অধ্যক্ষ

রংপুর মহানগর যুবলীগের সভাপতি বাশার আটক

রংপুর মহানগর যুবলীগের সভাপতি বাশার আটক

১৫ মিনিটের জন্য থমকে যাবে রংপুরসহ পাঁচ জেলা

১৫ মিনিটের জন্য থমকে যাবে রংপুরসহ পাঁচ জেলা

রংপুরের আরেক উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ৬ রোগী

বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ০৮:১৪

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ছয়জন রোগী পাওয়া গেছে। তারা শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। 

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার অপরজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, সর্বশেষ অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গে আক্রান্ত এসব রোগীর বাড়ি উপজেলার দাঁড়িয়াপুরে। তাদের মধ্যে পুরুষ চারজন, নারী একজন। তারা শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন।

আক্রান্ত রোগীদের পরিবারের জানান, স্থানীয় টুটুল মিয়ার একটি গাভি অসুস্থ হলে গত ১১ নভেম্বর জবাই করে গ্রামবাসীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। এরপর ১২ অক্টোবর মাংস কাটাকাটির সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের শরীরে ঘা দেখা দেয়।

স্থানীয় নারী শান্তি বেগম বলেন, তার ভাশুরের অসুস্থ গরু জবাই করার পর ৮-৯ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দেয়। তবে তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাননি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য থেকে জানা যায়, গতকাল সোমবার পর্যন্ত রংপুরের পীরগাছায় ৩৮, কাউনিয়ায় ১৮, মিঠাপুকুরে ১২, গঙ্গাচড়ায় ৭, পীরগঞ্জে ১ জনসহ মোট ৭৮ জন সন্দেহজনক অ্যানথ্রাক্স রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের নতুন পাঁচ রোগীর তথ্য এখনো এই হিসাবে যুক্ত হয়নি।

জেলা সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা বলেন, জেলায় অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১। তবে অ্যানথ্রাক্স সন্দেহজনক রোগীর সংখ্যা বেশি। এর কারণ অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের রোগীর নমুনা নিতে হলে শরীরে কাচা ঘা থাকতে হয়। কিন্তু ঘা শুকিয়ে গেলে আর নমুনা নেওয়া সম্ভব হয় না। তারা কিছু রোগী পেয়েছেন, যারা চিকিৎসা শুরু করাচ্ছেন, ঘা শুকিয়ে গেছে।

গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে রংপুরের পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে দুই নারী ও পুরুষ মারা গেলে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের বিষয়টি আলোচনায় আসে। গত ৪ অক্টোবর অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের রোজিনা বেগম (৪৫) মারা যান। 

মন্তব্য করুন


Link copied