নিউজ ডেস্ক: বেশিরভাগ মানুষ ঘড়ি পরার জন্য বাঁ হাতকেই বেছে নেন। এটি কেবল একটি প্রচলিত ফ্যাশন বা অভ্যাস নয়, এর পেছনে রয়েছে একাধিক বাস্তব কারণ, যার মূল উদ্দেশ্য হলো কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা।
*অধিকাংশ মানুষ (প্রায় ৯০%) ডানহাতি। ঘড়ি বাঁ হাতে পরার প্রধান কারণ হলো ডান হাতকে সব কাজের জন্য মুক্ত রাখা।
*লেখার সময়, কম্পিউটার ব্যবহারের সময়, জিনিসপত্র ধরার সময় বা অন্যান্য সূক্ষ্ম কাজ করার সময় ডান হাতই ব্যস্ত থাকে। ঘড়ি বাঁ হাতে থাকলে, ডান হাতের কাজ বন্ধ না করেই মুহূর্তের মধ্যে বাঁ হাতে সময় দেখা সম্ভব হয়।
*যদি ডান হাতে ঘড়ি পরা হয়, তবে লেখার সময় ঘড়ির ডায়াল টেবিলের ওপর ঘষা খেতে পারে এবং অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। বাঁ হাতে ঘড়ি থাকলে কাজের সময় তা কম বাধা সৃষ্টি করে।
*ঘড়ি একটি মূল্যবান এবং সংবেদনশীল জিনিস। এটিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই নন-ডমিন্যান্ট হাতে পরা হয়।
*যেহেতু ডান হাত সব কাজ করে, তাই এটিকে ঘন ঘন দরজা, টেবিল বা অন্য বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা লাগার ঝুঁকি থাকে। বাঁ হাতে ঘড়ি থাকলে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা কমে যায় এবং ঘড়ির ডায়াল ও স্ট্র্যাপ সুরক্ষিত থাকে।
*বেশিরভাগ ঘড়ির ডায়ালের ডানদিকে মিনিট কাঁটাটি থাকে। বাঁ হাতে ঘড়ি পরলে, ডান হাত দিয়ে সেই কাঁটাটি ধরে সহজে সময় সেট করা যায়। যদিও আধুনিক ব্যাটারি বা স্বয়ংক্রিয় ঘড়িতে এই প্রয়োজনীয়তা নেই, কিন্তু এই ঐতিহ্যটি আজও রয়ে গেছে।
*অন্যদিকে বাঁ হাতিদের ক্ষেত্রে এই নিয়মটি উল্টো। যেহেতু তাদের বাঁ হাত কাজকর্মে বেশি ব্যবহৃত হয়, তাই বাম হাতিরা সাধারণত তাদের ঘড়ি ডানহাতে পরেন। এর কারণও সেই একই: বাঁ হাতকে কাজের জন্য মুক্ত রাখা এবং ডানহাতে পরা ঘড়িটিকে সুরক্ষিত রাখা। ঘড়ি বাঁ হাতে পরার মূল কারণটি হলো সুবিধা এবং সুরক্ষা।