আর্কাইভ  শুক্রবার ● ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে আবেদন

ব্রাকসু নির্বাচন
ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে আবেদন

খাঁচায় ফেরানো হলো মিরপুর চিড়িয়াখানার সিংহটিকে

খাঁচায় ফেরানো হলো মিরপুর চিড়িয়াখানার সিংহটিকে

৬ ডিসেম্বর রক্তাক্ত পিচ্ছিল পথে স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছিল: তারেক রহমান

৬ ডিসেম্বর রক্তাক্ত পিচ্ছিল পথে স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছিল: তারেক রহমান

মিরপুর চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে বেরিয়ে গেছে সিংহ

মিরপুর চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে বেরিয়ে গেছে সিংহ

ব্রাকসু নির্বাচন

ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে আবেদন

শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, রাত ১০:৫৯

Advertisement

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্সের বাধ্যবাধকতা বাতিলের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী।  তবে আবেদনে আশিকুর রহমান, শামসুর রহমান সুমন, আরমান হোসেন ও রহমত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান—তারা ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেননি। এমনকি আবেদনে চারজনের নামেও গরমিল পাওয়া গেছে।
 
তারা জানান, এ ব্যাপারে তাদের কিছু জানানো হয়নি। তারা কেউ সাক্ষর করেনি। 
 
বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। গত বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) আবেদনটি করা হলেও আজ শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) রাতে এটি প্রতিবেদকের হাতে আসে। 
 
ব্রাকসু নির্বাচনী নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি প্রার্থীকে ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করা এবং হলে থাকা সকল বকেয়া পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক। তবে আবেদনকারীদের দাবি—অত্যন্ত স্বল্প সময়ে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করা কঠিন।
 
আবেদনে বলা হয়, চলমান ব্রাকসু নির্বাচনে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স বাবদ ব্যয় একজন শিক্ষার্থীর জন্য স্বল্প সময়ে বহন করা সম্ভব নয়। 
 
শিক্ষার্থীরা জানান, নীতিমালায় আগেই স্পষ্টভাবে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক উল্লেখ ছিল। তাহলে এখন কেন এ দুটি শর্ত এড়িয়ে যেতে চাইছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা? তারা কি এসবের সঙ্গে জড়িত।
 
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বারবার ভোটার তালিকা সংশোধন করা হলেও ত্রুটি রয়ে যাচ্ছে। এমন ভুলভ্রান্ত তালিকা দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়েও তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
 
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন আকন্দ বলেন, আমরা চাই অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচনী নীতিমালা ও প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। কিন্তু কিছু সম্ভাব্য প্রার্থী হঠাৎ ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স বাতিলের দাবি তুলছেন। এতে তো সন্দেহ জাগে—তারা কি মাদকাসক্ত কিনা?
 
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে সহকারী নির্বাচন কমিশনার আমির শরিফ বলেন,আমি একটি আবেদন দেখেছি। যে কেউ আপিল করতে পারে, সেটা কমিশন বিবেচনা করবে।

মন্তব্য করুন


Link copied