আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

বাঙালির ইলিশ-পান্তা খাওয়ার তোড়জোড়ে বাঁধ সেধেছে ইলিশের তুঘলকি

সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, রাত ০৩:০১

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: আজ ‘পয়লা বৈশাখ’, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। এরই মধ্যে নতুন বছরকে বরণ করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সবাই। তবে ভোজনরসিক বাঙালির ইলিশ-পান্তা খাওয়ার তোড়জোড়ে বাঁধ সেধেছে ইলিশের দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে মিলছে না পদ্মার ইলিশ। বড় দু-একটি ইলিশ উঠলেও দাম যেন আকাশচুম্বী! রমজানে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজির ইলিশ এখন ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে বেশির ভাগই সমুদ্রের ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাজারে হিমায়িত ইলিশের চেয়ে টাটকা ইলিশের দাম অনেক বেশি। পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে টাটকা বা সম্প্রতি তোলা এক কেজি বা একটু বেশি ওজনের ইলিশের দাম ৩ হাজার ২০০ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা কেজি। ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশের দাম আড়াই হাজার থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি।

৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম দেড় হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি। এ ছাড়া এক কেজি ওজনের হিমায়িত ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা কেজি দামে। আর ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের হিমায়িত ইলিশ বিক্রি হয়েছে দেড় হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। আর ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, খিলক্ষেত, বাড্ডা, নতুনবাজার, জোয়ারসাহারা, মিরপুর-১০ ও উত্তরাসহ বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে ইলিশের দামের এমন চিত্রই দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈশাখ উপলক্ষে হঠাৎ করেই ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। কারণ ইলিশের মৌসুম না থাকায় সাগরে বা নদীতে খুব বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে না। আবার নদীতে এখন ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার মৌসুম চলার কারণে তৈরি হয়েছে সংকট। উত্তরার আজমপুর বাজারের ইলিশ বিক্রেতা শফিউদ্দিন বলেন, আমার মাছের দোকানে দুই ধরনের ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। সম্প্রতি সময়ে ধরা টাটকা ইলিশ আর হিমায়িত করে রাখা আগের ইলিশ। বৈশাখ উপলক্ষে সব ধরনের ইলিশের চাহিদাই বেড়েছে। তাই দামও কিছুটা বেড়েছে। খিলক্ষেত বাজারের বিক্রেতা আলামিন বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে ইলিশ এনেছি। আমার কাছে সব হিমায়িত ইলিশ। টাটকা ইলিশের দাম বেশি। ক্রেতারা দাম জিজ্ঞেস করে চলে যায়। সেই তুলনায় হিমায়িত ইলিশের দাম কম। ক্রেতারাও খুশি, আমিও খুশি। এখন বাজারের সব মাছ কোল্ডস্টোরেজের। খিলক্ষেত বাজারে ইলিশ কেনার সময় কথা হয় নামের এক চাকরিজীবী সালাউদ্দিন সঙ্গে। তিনি বলেন, আগামীকাল পয়লা বৈশাখ পরিবারের সবাইকে নিয়ে প্রথম প্রহরে প্রতি বছরই পদ্মার ইলিশ ও পান্তা খাই। এবার বাজারে পদ্মার ইলিশ নেই বললেই চলে। বড় দু-একটি ইলিশ উঠলেও দাম যেন আকাশচুম্বী! রমজানে ১৫০০ টাকা কেজিতে কিনতে পেরেছি তা এখন ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


Link copied