আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠার দাবি ছাত্র-জনতার 

বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, রাত ০৯:০৪

Advertisement Advertisement

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা। 
 
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরাম, জুলাই যোদ্ধা, নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম, সর্ব্বস্থরের জনগন সহ বিভিন্ন ব্যানারের আয়োজনে চৌরাস্তায় ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। 
 
ঠাকুরগাঁওয়ে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল স্থাপনের করার জন্য একাত্মতা ঘোষণা করে আয়োজিত মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। 
 
এসময় বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মো. দেলাওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলমগীর, সহকারি সেক্রেটারী অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন, সমাজকর্মী মাসুদ আহম্মেদ সুবর্ণ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 
১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী তিনটি হাসপাতাল প্রস্তাবিত করায় চীন ও বর্তমান সরকারের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্যে তারা বলেন, প্রস্তাবিত তিনটি হাসপাতালের মধ্যে একটি হাসপাতাল রংপুর বিভাগের প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। ইতিমধ্যে রংপুর বিভাগের আটটি জেলার মধ্যে রংপুর, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সহ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইপিজেড করা হয়েছে। কিন্তু আদো অবধি ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো মেডিকেল কলেজ বা ভালো মানের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হয়নি। এমনিতেই রংপুর বিভাগ অবহিত তার পরেও রংপুরে অন্যান্য জেলার তুলনায় ঠাকুরগাঁও জেলা উন্নয়নের দিক থেকে  অনেক পিছিয়ে আছে। তাই চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালটি নীলফামারী বা অন্য কোন জেলায় না দিয়ে ঠাকুরগাঁয়ে প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তারা।
 
তারা আরও বলেন, হাসপাতালটি ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠা করলে পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড় এবং দিনাজপুরের একাংশের ৪০ লাখ মানুষ এখানে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারেন ও উপকৃত হবেন। শুধু ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় দিনাজপুরের মানুষ না। এখানে হাসপাতালটি করা হলে কাছাকাছি অবস্থিত পার্শ্ববর্তী দেশ সিকিম, ভুটান ও চীনের মানুষও এখান থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর সহ বাংলাদেশের অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য ছুটে যাচ্ছেন ভারতে। এদেশের মানুষ আর ভারতের উপর নির্ভরশীল হতে চায়না। তাই চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালটি ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠার করার দাবি জানান সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা।

মন্তব্য করুন


Link copied