মমিনুল ইসলাম রিপন রংপুর:।। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ‘জাসদ’। আজ বহু খন্ডে বিভক্ত। খন্ড বিখন্ড ভাগ গুলোকে এক করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সকল অংশের ঐক্য করে এবার আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবো বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার ফারাহ খান।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে রংপুরের সুমি কমিউনিটি সেন্টারে রংপুর বিভাগের সকল জেলার জাসদের সব অংশের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যারিস্টার ফারাহ খান বলেন- ১৯৭১ সালে যে স্বপ্নের সোনার বাংলার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা দেখেছি স্বাধীনতার পরে দেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিলো, মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো, আমরা দেখেছি সারাদেশে লুটপাট শুরু হয়েছিলো। আমরা এমন স্বাধীনতা চাইনি বলেই আমাদের নেতা সিরাজুল আলম খান দাদার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ গঠিত হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সালে জাসদ একটি বটগাছ ছিল কিন্তু সেই জাসদ ব্যক্তি স্বার্থে খন্ড বিখন্ড হয়ে গত ৫৩ বছরে পরগাছা হয়ে গেছে। সেই কারণে আমি আজ আপনাদের কাছে এসেছি কারণ জাসদ কোন নেতার দল নয়, জাসদ কর্মিদের দল। জাসদের কর্মীরাই এ দলের প্রাণ ও শক্তি। তাই জাসদকে আবারো কর্মিদের কাছে ফিরিয়ে নিতে হবে। আমরা কোন অংশের কোন নেতা কে বাদ দিচ্ছিনা কিন্তু আপাতত আমরা নেতাদের ঐক্য করবো না। আমরা কর্মীদের ঐক্য করবো আগে, কারণ আমরা নেতাদের ঐক্য হতে দেখেছি ১৯৯৭ সালে, আবার সেই ঐক্য আমরা ভাঙতেও দেখেছি বছর ঘুরতে না ঘুরতে যখন নেতাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। তাই এবার কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে আগে তারপর আমরা নেতাদের কাছে যাবো।
ব্যারিস্টার ফারাহ খান আরো বলেন- বড় দলের নেতারা আমাদের একটি দুটি আসন দেয় আর আমরা সেই আসন নিয়ে খুশি হয়ে যাই। কিন্তু জাসদই হতে পারতো এই দেশের মুল কান্ডারী। আমরা দেখি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সাথে জোট বেঁধে রাজনীতি করে এলাকায় যেতে পারিনা কিন্তু অন্য দলের দল্য কেন শাস্তি ভোগ করবো। জাসদ ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। একটি বা দুটি আসনের জন্য বড় বড় দলের সাথে যুক্ত হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দরকার নেই।
মতবিনিময় সভায় জাসদ নেতা আনিসুল ইসলাম রাজু, শফিয়ার রহমান, ইসমাইল হোসেন বাদলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ব্যারিস্টার ফারাহ খান নিউক্লিয়াস প্রধান স্বাধীনতার রুপকার জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খান দাদার ভাতিজি। দাদার জীবদ্দশায় ব্যারিস্টার ফারাহ খান জাসদের রাজনীতিতে আসেন এবং তার উচ্চ শিক্ষা, রাজনৈতিক মেধা এবং কর্মীদের প্রতি মমত্ববোধ খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে জাসদের মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয় করে তোলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি খুলনা, বরিশাল বিভাগের পর এবার রংপুর বিভাগে এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। গত কয়েক মাস ধরে খুব জোরালো ভাবে কাজ করছেন ব্যারিস্টার ফারাহ খান।