আপনার বাজেট যদি থাকে মাঝামাঝারি পর্যায়ের এবং একটি ভালো মানের ফোন কিনতে চান, তাহলে এই পোস্টে আলোচিত মিড রেঞ্জের মোবাইল কেনার ৫টি টিপস আপনার জন্য জানা আবশ্যক। আমাদের মাঝে অনেকের মোবাইল কেনার জন্য বাজেট কম থাকে, কিন্তু আমরা ভালো মানের একটি মোবাইল ফোন কিনতে চাই। বেশিদিন টেকসই হবে, সুন্দর ডিজাইন, ওভারঅল ভালো পারফরম্যান্স এবং ক্যামেরা ভালো থাকবে এমন একটি ফোনই তো চাই আমরা।
মিড রেঞ্জের মোবাইল কেনার সময় কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। মিড রেঞ্জের সকল মোবাইল ফোনের দাম MobileDokan এর ওয়েবসাইট থেকে জেনে নেয়া যাবে। এগুলো হচ্ছে - ফোনের ক্যামেরা, প্রসেসর, বিল্ড কোয়ালিটি, ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং ব্রান্ড ভ্যালু। এই ৫টি বিষয় যাচাই করে তবেই একটি বাজেট ফোন ক্রয় করা উচিত। এই বিষয়গুলো নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ফোনের ক্যামেরা
একটি মিড রেঞ্জের ফোন কেনার সময় আমরা সবার প্রথমেই ফোনটির ক্যামেরা কেমন সেটি যাচাই করার চেষ্টা করে থাকি। স্মার্টফোন দিয়ে যদি ভালো মানের ছবি তোলা না যায়, তবে সেটি আমাদের অনেক কাজের ক্ষেত্রেই সমস্যার সৃষ্টি করবে। তাই, বাজেট ফোন কেনার সময় স্পেসিফকেশন এবং রিভিউ দেখার সময় অবশ্যই ফোনটির ক্যামেরা কত মেগাপিক্সেলের সেটি যাচাই করে দেখুন।
এছাড়া, ইউটিউবে বিভিন্ন রিভিউ ভিডিও দেখে ফোনের ক্যামেরা কোয়ালিটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন। পাশাপাশি, ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন করতে পারেন রিভিউ দেখার জন্য।
শক্তিশালী প্রসেসর
ফোনের প্রসেসর যদি ভালো না হয়, তবে ভালো মানের ছবি উঠবেনা, ফোন চালানোর সময় ল্যাগ করবে, মাল্টি-টাস্কিং করতে পারবেন না, হ্যাভি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং গেমিং করতে পারবেন না। তাই, ফোন কেনার সময় ফোনটিতে কোন কোম্পানির প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রসেসরের মডেল কত সেগুলো যাচাই করে দেখুন। এরপর, ইউটিউব ভিডিও দেখে ফোনটির প্রসেসরের ক্ষমতা, বেঞ্চমার্ক যাচাই করুন। যদি ভালো মানের প্রসেসর হয়, তবেই ফোনটি ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিন।
বিল্ড কোয়ালিটি
একটি ভালো মানের ফোনের প্রথম পরিচয় হচ্ছে ফোনটির বিল্ড কোয়ালিটি ভালো হবে। ফোনের ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি ভালো হলে ফোনটি ব্যবহার করে যেমন হ্যান্ডি লাগে, ঠিক তেমনি প্রিমিয়াম ফিল দেয়। ফোনের ভিতরে ডিসপ্লে প্রটেকশন ব্যবহার করা হয়েছে কিনা স্পেসিফিকেশন চেক করে দেখুন। এছাড়া, ফোনটির আইপি রেটিং কত সেটিও যাচাই করে দেখুন।
এরপর, ফোনটির রিভিউ ভিডিও দেখার মাধ্যমে ফোনের বিল্ড কোয়ালিটি এবং ডুরাবিলিটি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়া, ফোনের ডিজাইন কেমন সেটিও জানতে পারবেন রিভিউ দেখার মাধ্যমেই। ফোন কেনার পূর্বে রিভিউ দেখা একটি আবশ্যক বিষয়।
ব্যাটারি ব্যাকআপ
ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ যদি ভালো না হয়, তাহলে ফোন চালিয়ে শান্তি পাবেন না। ৩/৪ ঘণ্টা ব্যবহার করতেই যদি ফোনের চার্জ শেষ হয়, তাহলে সারাদিন ফোন চার্জে লাগিয়ে ব্যবহার করতে হবে। তাই, ফোন কেনার সময় 5000 mAh কিংবা 6000 mAh এর ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে এমন ফোন কেনার চেষ্টা করুন। এসব ফোনে একবার ফুল চার্জ করলে সারাদিন ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়া, বর্তমানে মিড রেঞ্জ বাজেটের ফোনগুলোতে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। ফলে, ১ ঘণ্টা থেকে ১.৫ ঘণ্টার মাঝে ফোন ফুল চার্জ হয়ে যায়।
ব্রান্ড ভ্যালু
ফোন কেনার ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে কোন ব্রান্ডের ফোন কেনা হবে। কোম্পানিভেদে ব্রান্ড ভ্যালু ভিন্ন হয়ে থাকে। ব্রান্ড ভ্যালু ভালো হলে আফটার-সেলস সার্ভিস ভালো পাওয়া যায়। পাশাপাশি, আপনি যদি ফোনটি বিক্রি করে দেন, তাহলে রিসেল ভ্যালু ভালো পাবেন। এজন্য, রেপুটেড ব্রান্ড থেকে ফোন কেনার চেষ্টা করতে হবে।
শেষ কথাঃ
আপনার যদি মিড রেঞ্জের বাজেট থাকে, তাহলে নিচে আলোচিত ৫টি টিপস ফোন কেনার সময় অনুসরণ করুন। টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনার বাজেটের মাঝেই ভালো পারফরম্যান্সের একটি ফোন কিনতে পারবেন।