আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২২ মে ২০২৫ ● ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২২ মে ২০২৫

গভীর রাতে টিসিবির পণ্য বাড়ীতে নেওয়ার চেষ্টা, আটকে দিয়েছে স্থানীয়রা

বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, দুপুর ১০:৫৪

Advertisement

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে টিসিবির পণ্য বিতরণ না করে রাতে ডিলারের নিযুক্ত কর্মচারীর বাড়ীতে নেওয়ার সময় আটক করেছে স্থানীয়রা। 
 
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার সময় উপজেলার ভানোর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে আধা কিলোমিটার দুরে রাস্তায় মালগুলো আটক করেন স্থানীয় নবাব নামে এক যুবক। পরে লোকজন মালামাল গুলো ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নিয়ে আসে। বুধবার রাত ১০ টা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে মালামালসহ ডিলারের কর্মচারী রাজুকে আটক করে রাখতে দেখা গেছে। 
 
স্থানীয়রা জানান, রাতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিসিবির ১৫ টি প্যাকেজ ভ্যানে করে বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছিলেন ডিলারের সহকারী রাজু। সন্দেহ হলে ভ্যানগাড়ী আটকে দেয় নবাব। পরে বাজারে থাকা লোকজন গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে টিসিবির পন্যসহ রাজুকে পরিষদ চত্বরে আটকে রাখে। 
 
নবাব জানান, টিসিবির এতগুলো পন্য রাতে আত্মসাতের জন্য গোপনে ডিলার তার লোক দিয়ে বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি দৌড়ে ধরেছি, নাহলে পালিয়ে যেতো। ডিলাররা এসব পণ্য নিয়ে গেলে আর ফেরত আসতো না। 
 
ডিলারের কর্মচারী রাজু জানান, সাব ডিলার একরামুলের নির্দেশে ১৫টি প্যাকেজ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছিলাম। স্থানীয়রা আটকে দিয়েছে। এসব মালামাল পরবর্তী মাসে সমন্বয় করার কথা ছিল। 
 
ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, বিতরণের পর অবশিষ্ট থাকা ১৫টি প্যাকেজ পরিষদ থেকে রাতে কাউকে কিছু না বলেই নিয়ে যাচ্ছিল ডিলারের কর্মচারী রাজু। স্থানীয়রা আটকে দিয়েছে। আমি ইউএনওকে অবগত করেছি। তিনি ব্যবস্থা নিবেন, কাউকে না অবগত করে ইউপি কার্যালয় থেকে টিসিবির পন্য নিয়ে যাওয়ায় তিনিও ক্ষুদ্ধ। 
 
টিসিবির ডিলার মেসার্স মাহিম এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর আব্দুল আওয়াল জানান, ৫ দিন ধরে পন্য বিতরণ চলছে, একরামুল নামে এক সাব ডিলারকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তার বাবা অসুস্থ্য থাকার কারনে আসতে পারেননি। পরে এ ঘটনা জানতে পেরেছেন। তিনি একরামুল এবং ইউএনও অফিসে কথা বলবেন বলে মুঠোফোনে জানান। 
 
ডিলার জানিয়েছে, ভানোর ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির স্মার্ট কার্ডধারী সুবিধাভোগী রয়েছেন ৭৫৫ জন। এর মধ্যে ৭৪০ টি পন্য বিতরণ করেছেন ডিলার। 
 
এদিকে উপজেলা প্রশাসন অথবা ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত না করে রাতে কেন বাসায় নিচ্ছিলেন? এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি সাব ডিলারেরর দায়িত্বে থাকা একরামুল হক। 
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্ধার হওয়া মালামালগুলো ইউপি।কার্যালয়ে হেফাজতে রাখতে বলেছি। আগামীকাল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
 
উল্লেখ্য, এর আগেও এক বছর আগে একরামুল হককে টিসিবির পণ্যসহ গভীর রাতে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সাজা দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। 

মন্তব্য করুন


Link copied