আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়েছে: বিশেষ সহকারী

মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫, রাত ০৩:৫২

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব। সাইবার স্পেসে জুয়া বন্ধে গৃহীত সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে জড়িত প্রায় ১ হাজার ১০০ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।  

রোববার (২৫ মে) ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে তিনি একথা জানান।

তিনি লিখেছেন, ইতোমধ্যেই জুয়ার সাথে জড়িত এক হাজারের অধিক মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আপনার জানামতে কোনো জুয়ার অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে থাকলে সেগুলো দ্রুত রিপোর্ট করুন।   

তিনি লিখেন, সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। সরকার সাইবার স্পেসে জনস্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২০ ধারা অনুসারে জুয়া খেলা এবং জুয়া খেলার সাথে জড়িত সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। এই আইন অনুসারে সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার জন্য কোনো পোর্টাল/অ্যাপস/ডিভাইস তৈরি/পরিচালনা করা, জুয়া খেলা, খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপনের সাথে জড়িত থাকাকে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২১ এবং ২২ ধারা অনুযায়ী জুয়া খেলার জন্য কোনো ফাইনানশিয়াল ট্রানজেকশন, জুয়া খেলা বিষয়ে কোনো প্রতারণা বা জালিয়াতি করাকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জুয়া খেলা নিয়ে উৎসাহ প্রদান বা বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার কারণে বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের জুয়া খেলা নিয়ে কোনো বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কোনো নাগরিক বা মিডিয়া ব্যক্তিত্ব যদি মনে করেন তার অনুমতি ব্যতিরেকে জুয়া খেলার ওয়েবসাইট/পোর্টালে তার ছবি/ভিডিও ব্যবহৃত হচ্ছে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এই আইন প্রণয়নের পূর্বে যারা জুয়া খেলার সাথে বা জুয়া খেলার বিজ্ঞাপনের সাথে স্বেচ্ছায় জড়িত ছিলেন তাদেরকে অবিলম্বে এই কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। যারা পূর্বে জুয়ার কারণে প্রতারণার শিকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য আইনের ৩০ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা এবং ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণকে সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা এবং জুয়া খেলা সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার এবং এই অপরাধের সাথে যুক্ত ব্যক্তি/কোম্পানির ব্যাপারে তথ্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জানানোর জন্য অনুরোধ করছে।জুয়া একটি সামাজিক ব্যাধি এবং সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার কারণে দেশে অসংখ্য ব্যক্তি সর্বস্বান্ত হয়েছেন, অনেকে আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাই দেশের জনগণের কাছে সরকার সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা বন্ধ করার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সাহায্য প্রার্থনা করছে। সরকার ইতিমধ্যে এক হাজার একশ'র বেশি এজেন্ট শনাক্ত করেছেন এবং এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ বিষয়ে সরকারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং এরূপ কার্যক্রমের সাথে যে সকল মোবাইল ফাইন্যান্সিং এজেন্ট, ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই আইন অনুসারে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

এই বিষয়ে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং সাইবারস্পেসে জুয়া খেলা, ফাইনানশিয়াল স্কাম, জুয়ার লেনদেনের (ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ) সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত সকল খেলোয়াড়, অপারেটর, মোবাইল ফাইনানশিয়াল সিস্টেম, এমএফএস এজেন্ট, ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত মোবাইল ব্যাংকিং, রেগুলার ব্যাংকিং, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যেকোনো এজেন্ট, ডিস্ট্রিবিউটর কিংবা কোন ক্রিপ্টো ব্রোকার কিংবা হুন্ডির অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে ই-মেইলে (notify@ncsa.gov.bd) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।  

মন্তব্য করুন


Link copied