প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ২৩জনকে পুশইন করার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও রৌমারী সীমান্তে ১৪জন ভারতীয় নাগরিককে পুশইনের ঘটনায় ওই সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে ওই নাগরিকরা শূন্য রেখায় অবস্থান করছেন মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর রাত চারটার দিকে বড়াইবাড়ি সীমান্তে-১০৬৭ সীমানা পিলারে নোম্যান্সল্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে কয়েক রাউন্ড গোলাগুলি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। বর্তমানে পুশইন ঠেকাতে এলাকাবাসীর সহায়তায় বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে অবৈধভাবে ১৪জন নারী পুরুষকে বড়াইবাড়ি সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বিষয়টি বুঝতে পেরে পুশইন ঠেকাতে বাধা দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হলেও বিসএফের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি বলে জানা গেছে। দুপুর ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে পুশইন করা ব্যক্তিরা অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
এদের মধ্যে ৯জন পুরুষ ও ৫জন নারী, তারা সবাই ভারতের মুরগাঁও আসাম জেলার মৃওিকির ভিটা থানার বড়বেটা খান্দাপাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা বলে জানা গেছে।এবিষয়ে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় খোরশেদ আলম, ময়জুদ্দিন, নুরুল হকসহ কয়েকজন জানান, ভোর রাতে ভারত থেকে কয়েকজন ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছিল বিএসএফ, এতে বাধা দেয় বিজিবি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল ৬টার দিকে বিএসএফ ঐ সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে । বর্তমানে পরিস্থিতি কিছু থমথমে রয়েছে বলে জানান তারা।
জামালপুর ব্যাটালিয়নের- ৩৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক ভারপ্রাপ্ত অ্যাডজুটেন্ট শামসুল হক জানান, বিএসএফ অবৈধভাবে পুশইনের চেষ্টা করলে আমাদের বিজিবি বাধা দিয়ে তা প্রতিহত করে। পুশইন করা ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক তা আমরা এখনও নিশ্চিত না, তারা দুই দেশে শূন্য রেখায় আছে। ঘটনাস্থলে ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষ গেছেন। কিন্তু কোনো গোলাগুলির ঘটনা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে জেলার ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী উপজেলা দিয়ে আরো ২৩জন নাগরিককে পুশইনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এনিয়ে পুরো সীমান্তে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।