নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য মুক্তি পাওয়া নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। তাকে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে তাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত।
আজ বৃহস্পতিবার রংপুরের তারাগঞ্জে এক সমাবেশ থেকে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হালিম।
তারাগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘যারা বলেছিল অমুকের বেটি দেশ ছেড়ে পালায় না, তারাই আজ পালিয়েছে।
তাদের ঠিকানা অন্যখানে, একটু শব্দ হলেই তারা সেখানে পালিয়ে যায়। যাদের ঠিকানা অন্যখানে তাদের দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কোনো উপকার সম্ভব নয়।’
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রংপুরের তারাগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর শোকরানা সমাবেশ ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ টি এম আজহার এসব কথা বলেন। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জের) মানুষের খেদমত করতে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে ভোট চান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিগত বছরে আওয়ামী লীগের জুলুম-অত্যাচারে শুধু জামায়াতে ইসলামী ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, যারাই মতের বিপক্ষে গেছে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামের নেতারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেও এ দেশ ছেড়ে পালায়নি। যারা জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে তারাই পালিয়েছে।’
এ টি এম আজহার বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যেখানে যেভাবেই জড়িত সরকারকে জানাতে চাই তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।
তা না হলে বাংলাদেশ আইনের শাসন থাকবে না। আজকে মানুষ আদালতকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। আগে আদালত দলীয়ভাবে চলত। এখন আদালত দলীয়মুক্ত হয়েছে। আমার তো রায় হয়ে গিয়েছিল শুধু ফাঁসি কার্যকর করা বাকি।
কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি মুক্ত হলাম। আর আমাকে ফাঁসির আসামি হিসেবে ঝোলানোর চেষ্টা করল যে বিচারপতিরা কোথায় আজকে তারা। তাদের আজ খুঁজে পাওয়া যায় না।’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে তিনি জড়িত ছিলেন না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আজ আমি মুক্ত ও স্বাধীন। আমি আপনাদের কাছে বলতে চাই, যে অপরাধে আমাকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর কসম সে অপরাধী আমি সামান্যতম জড়িত ছিলাম না। আমাকে অন্যায়ভাবে করা ফাঁসানো হয়েছে।’