আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

রংপুরে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, থানায় মামলা  

শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, রাত ১০:১৯

Advertisement Advertisement

মমিনুল ইসলাম রিপন: রংপুর নগরীতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে রেজোয়ানা দিল আফরোজ (২২) নামে এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রেজাউল করিম বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।

শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ঢাকায় জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে রংপুর মহানগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাহিগঞ্জ থানাধীন সরেয়ারতল এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সঙ্গে রেজাউল করিমের মেয়ে রেজোয়ানা দিল আফরোজের বিয়ে হয় । বিয়ের সময় বরপক্ষকে ৫ লক্ষ টাকার উপহার দেওয়া হয়েছিল বলে পরিবারের দাবি।

বিয়ের পর থেকেই রেজোয়ানা নির্যাতনের শিকার হন। গত ৫ জুন যৌতুকের জন্য স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা মারধর ও নির্যাতন করেন। পরে ৮ জুন বিকেল ৩টার দিকে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও ননদের স্বামী মিলিত হয়ে রেজোয়ানার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা রেজাউল করিমের অভিযোগ, যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় জামাই তার মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। শ্বশুর-শাশুড়িরা আগুন নেভাতে না গিয়ে দরজা বন্ধ করে জানিয়ে দেয় তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এঘটনায় মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও ননদের স্বামীকে আসামি করে মামলা করেছেন তিনি।

রেজোয়ানার দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস জানান, ঘটনার পর নিহত গৃহবধূর স্বামী, ননদ ও ননদের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু দেরি হলেও এখন তদন্ত চলছে।

মন্তব্য করুন


Link copied