মমিনুল ইসলাম রিপন: ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিধারা ও গণতন্ত্রের উপর আওয়ামী লীগ পেরেক মেরেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম।
তিনি বলেন, এক-এগারোর প্রেক্ষাপট তৈরি করে ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয়। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নিশিরাতের বিনাভোটের ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিলাভ করে। একটি গণতান্ত্রিক দল হিসাবে সবশেষ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করে। আল্লাহর মেহেরবাণীতে চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কবলে সেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটেছে।
বুধবার (২ জুলাই) বেলা সোয়া দুইটার দিকে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। আগামী ৪ জুলাই রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় জনসভার আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জামায়াতে ইসলামীর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, বিগত ১৮ বছরে ফ্যাসিবাদের কবলে পরে হাজার হাজার মানুষ গুম, খুন, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর ১১ জন শীর্ষ নেতাকে গত জালিম সরকার ন্যায় ভ্রষ্ট রায় দেখিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে হত্যা করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময় জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে তার গণতান্ত্রিক কার্যক্রম উন্মুক্তভাবে পরিচালনা করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম, নির্যাতন ও অবিচার জনগণকে অবহিতকরণ, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা রংপুরে আগামী ৪ জুলাই জনসভার আয়োজন করতে যাচ্ছি। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। প্রধান বক্তা থাকবেন সদ্য কারামুক্ত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম। এছাড়া জনসভায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, রংপুর বিভাগীয় জনসভায় দুই লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতের টার্গেট নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জনসভা সফল করতে ইতোমধ্যে রংপুর নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তোরণ নির্মাণ, পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো, মাইকিং, প্রচারণা, গণসংযোগ ও মোটরসাইকেল র্যালি করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে জনসভা আয়োজনে মঞ্চ প্রস্তুত, প্রচারণাসহ ১৩টি উপ-কমিটি দিন-রাত কাজ করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর কমিটির সাবেক আমির অধ্যাপক মাহবুবার রহমান বেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও রংপুর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক ও সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তাক আহমেদ, মহানগর আমির আজম খান, সেক্রেটারি একেএম আনোয়ারুল হক কাজল, সহকারী সেক্রেটারি মো. রায়হান সিরাজী ও আল-আমিন হাসান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহানগর সভাপতি নুরুল হুদা, সেক্রেটারি আনিছুর রহমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সোহেল রানা প্রমুখ।