আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

♦ যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রেও
♦ নির্বাচনে আগ্রহীরা ঘুরছেন এলাকায়
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের দাবি আবারও খারিজ করলেন জয়শঙ্কর

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫, রাত ০৮:১৩

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, গত ৯ মে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত যখন তুঙ্গে, তখন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফোনে কথা হয়, আর সেই সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

দুই দেশের (ভারত-পাকিস্তান) মধ্যে ‘যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি আবারও খারিজ করেন এস জয়শঙ্কর।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘নিউজউইক’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন এস জয়শঙ্কর।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, জেডি ভান্স জানিয়েছিলেন, ‘যদি কিছু বিষয় মেনে নেওয়া না হয় তাহলে ভারতের ওপর ব্যাপক হামলা চালাতে পারে পাকিস্তান।’

জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদি ইঙ্গিত দেন, তেমনটা হলে ভারতও পাল্টা জবাব দেবে।

বাস্তবে তাই হয়েছিল। ওই রাতে পাকিস্তান ভারতের ওপর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, পাল্টা জবাব দেয় ভারত।

পরের দিন সকালে মার্কো রুবিও তাকে ফোনে জানান, পাকিস্তান ‘আলোচনায় আগ্রহী’।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওইদিন অর্থাৎ ১০ মে বিকেলের দিকে পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্স (ডিজিএমও) ভারতের ডিজিএমওকে ফোনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন।

প্রসঙ্গত, ভারত বা পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে বিষয়ে ঘোষণা করে বসেন। তারপর থেকে একাধিকবার তাকে বলতে শোনা গেছে, ‘তিনিই যুদ্ধ থামিয়েছেন’ এবং যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ‘ট্রেড’ বা ‘বাণিজ্য’ বিষয়ক আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মাকিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকার বিষয়ে পাকিস্তান ‘সিলমোহর’ দিলেও ভারত প্রথম থেকেই বলে এসেছে, এই প্রসঙ্গে একমাত্র পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষের কোনো ভূমিকা ছিল না।

কোয়াড ফরেন মিনিস্টার মিটিং-এ মার্কিন সফরে থাকাকালীন মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘নিউজউই ‘কে দেওয়া ওই একান্ত সাক্ষাৎকারেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সে কথাই আরও একবার উল্লেখ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ওই সফরে থাকাকালেই যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স তুলসী গ্যাবার্ড এবং এফবিআই-এর ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করে সন্ত্রাস মোকাবিলার বিষয়ে আলোচনা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সফরের সময় সন্ত্রাস নিয়ে ভারতের অবস্থান, কেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত অভিযোগ তুলছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনার সময়ে কী ভূমিকা পালন করেছে সেসব বিষয়েও মন্তব্য করতে দেখা গেছে তাকে।

নাম না করেই তাকে মন্তব্য করতে দেখা গেছে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবির বিষয়েও।

ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে যা ঘটেছিল তার রেকর্ড একেবারে স্পষ্ট। যুদ্ধবিরতি এমন একটা বিষয় যা নিয়ে দুই দেশের ডিজিএমওদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল..। এই বিষয়ে এই টুকুই বলব…।’

এর আগেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ভারতের একাধিক কর্মকর্তা ট্রাম্পের দাবি খারিজ করেছেন।

সূত্র : বিবিসি।

মন্তব্য করুন


Link copied