আর্কাইভ  শুক্রবার ● ৪ জুলাই ২০২৫ ● ২০ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ৪ জুলাই ২০২৫

পাটগ্রামে পাথর মহাল ইজারাদার টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ২৭, সাধারণ পাথর ইজারাদারদের সংবাদ সম্মেলন

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫, রাত ০৮:৩২

Ad

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের পাটগ্রামে পাথর মহাল ইজারাদার টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে থানা পুলিশ ও দুর্বৃত্তদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২৭,যাদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
 
বুধবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের সরে অ-বাজার এলাকায় পাথর কোয়ারীর ছাড়পত্র চেকিং পয়েন্ট হতে বেলাল ও সোহেল নামে দুই জনকে ১ লাখেরও অধিক টাকার রিসিভ মানিসহ আটক করে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। 
 
এখবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা/দুর্বৃত্তরা থানা ঘেরাও করে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি বেলাল হোসেন ও সোহেল রানা চপলকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে পাটগ্রাম থানা পুলিশ ও দুর্বৃত্তরদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে থানার চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ভাঙচুর গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তছনছ, ইট-পাটকেলে থানার জানালার কাঁচ ও দরজা ভেঙে ফেলা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলেও উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। পরে লালমনিরহাট, হাতিবান্ধা ও কালীগঞ্জ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
 
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আমিনুল ইসলাম (ডিসি বলেন,পাটগ্রামে সরকারের অনুমোদন নিয়ে ৯টি কোয়ারীর জন্য ইজারা দেয়া হয়। এই সুনির্দিষ্ট ৯ কোয়ারীর বাইরে পাথর উত্তোলন করতে পারবে না এবং ওখান থেকে ম্যানুয়ালি করতে হবে। বাহির থেকে ট্রাক থেকে অথবা রিসিভ দিয়ে টাকা তোলা, ব্যানার টাঙানো এটার সাথে পাথর কোয়ারীর কোন সম্পর্ক নাই। এটা যেটা করতেছে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। 
 
এদিকে দুপুরের পর পাথর / বালু মিশ্রিত পাথর মহালের ইজারাদার গণের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন,লালমনিরহাট মহাসড়কের জোংড়া, মির্জারকোট, মমিনপুর, সমশেরপুর ৪টি মহালের সংযোগ স্থলে কোয়ারি ছারপত্র চেকিং এর ব্যবস্থা করি। ইতিমধ্যে পাটগ্রাম উপজেলায় উত্তম কুমার দাশ নামে নতুন ইউএনও ও মিজানুর রহমান নামে নতুন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যোগদান করেন উল্লেখিত কর্মকর্তাদ্বয় কর্মস্থলে যোগদানের পরপরই আমাদের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। দাবিকৃত ঘুষের টাকা পরিশোধ না করায় বিগত ০২/০৭/২০২৫ ইং দিবাগত রাত্রে ছারপত্র চেকিং পয়েন্ট হতে আমাদের সোহেল ও বেলাল নামের দুইজন কোয়ারি কর্মিকে ধরে নিয়ে আসেন এই খবর জানতে পেরে আমি ও অন্য ইজারাদার বাদশা জাহাঙ্গীর চপল সহ থানায় খোজ খবর নিতে গেলে ওসি আমাকে ও চপলকে শারিরীকভাবে গুরুতর আহত করেন। 
 
এ খবর ছরিয়ে পরলে ব্যবসায়ী মহলের লোকজন শুভাকাঙ্ক্ষীগণ থানার সামনে জড়ো হলে ওসির নির্দেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে, এতে প্রায় ১৭ জন গুলি বিন্ধ সহ বিভিন্ন স্তরে আঘাত প্রাপ্ত হয়। আমি আপনাদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শণ করে এর সুষ্ঠু  তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা দ্বয়ের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি কামনা করছি এবং আমার বৈধ ইজারা কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা কামনা করছি। 

মন্তব্য করুন


Link copied