দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস হাই স্কুল এন্ড কলেজে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ও সেন্ট ফিলিপস ডে উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস হাই স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ও সেন্ট ফিলিপস ডে উদযাপন করা হয়।
রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ও সেন্ট ফিলিপস ডে উদযাপন উপলক্ষে সেন্ট ফিলিপস হাই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা নৃত্য, সংগীত, রম্য বিতর্ক ও নাটক পরিবেশন করে।
দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার কাজল লিনুস কস্তা’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক সিস্টার সন্ধ্যা পিউরী ফিকেশন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মো. আনসারুল হক, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক দুলাল রহমান, সেন্ট ফিলিপস সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক সুনীল বাস্কে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস হাই স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ ব্রাদার বিকাশ বার্ণাড কস্তা, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবেদ আলীসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ও সেন্ট ফিলিপস ডে উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গেছেন। সহজ করে কঠিন জিনিস বুঝিয়েছেন। আর জাতীয় কবি কাজী নজরুল মানবতার জয়গান গেয়েছেন। পরাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম দু’জনই আমাদের চেতনার বাতিঘর। রবীন্দ্রনাথের কল্যাণ চিন্তা ও নজরুলের প্রতিবাদ আমাদের শিক্ষা সাংস্কৃতিক এতিহ্য ও সংগ্রামের প্রতীক।
বক্তারা সেন্ট ফিলিপস ডে সম্পর্কে বলেন, সেন্ট ফিলিপস ডে-র গুরুত্ব এই যে, এটি প্রেরিত ফিলিপের জীবনের শিক্ষা এবং তার বিশ্বাসকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ফিলিপ ছিলেন একজন প্রচারক এবং তার শিষ্যদের মধ্যে একজন, যিনি অ-ইহুদিদের কাছে খ্রিস্টধর্ম প্রচার করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, যিশু হলেন মশীহ এবং তার শিক্ষা ছিল প্রেম, ক্ষমা, এবং সেবার উপর ভিত্তি করে।