'বাংলাদেশ আমার অহংকার'- এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে এলিট ফোর্সেস র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানিসহ মারাত্মক সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
বাদী কর্তৃক দায়েরকৃত এজাহারসূত্রে জানা যায় যে, এজাহারে বর্ণিত আসামিগণ বিভিন্ন প্রকার মাদক ব্যবসায় এবং চাঁদাবাজির সহিত জড়িত থাকার ঘটনায় ভিকটিম জাবেদ উমর জয় এবং তার বন্ধুগণ প্রতিবাদ করেন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ০৬/০৮/২০২৫ তারিখ অনুমানিক রাত ০৮:১৫ ঘটিকার সময় আসামিগণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে পঞ্চগড় জেলার সদর থানাধীন সিনেমা হল মার্কেটের সামনে ডেকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের পেটে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে কৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ভিকটিমের এই অবস্থা দেখে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে আধুনিক সদর হাসপাতাল, পঞ্চগড়ে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে পঞ্চগড় জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৪, তারিখ: ০৮/০৮/২০২৫ ইং, ধারা-৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড।
ঘটনাটি উক্ত এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইং ২১/০৮/২০২৫ তারিখ রাত ০৯.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী এবং সিপিসি-১, দিনাজপুর এর যৌথ আভিযানিক দল দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন বড় মাঠ এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় আসামি ০১। মোঃ নূর রাব্বী (২৬), পিতা- আমিনুল ইসলাম, ০২। মোঃ আবু তালেব (২৫), পিতা- নজরুল ইসলাম মজনু, উভয় সাং- নতুনবস্তী (রাজনগর) এবং ০৩। মোঃ কামাল হোসেন (৪০), পিতা- মৃত আবতার উদ্দিন, সাং- নতুনবস্তী (খালপাড়া), সর্বথানা-পঞ্চগড় সদর, জেলা-পঞ্চগড়'দেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে কার্যক্রমের জন্য ধৃত আসামিদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।