স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় নীলফামারীর দুইটি দাখিল মাদ্রাসার ১২ জন পরীক্ষার্থীই কেউ পাস করেনি। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এদিকে প্রকাশিত ফলাফলে এমন ফলাফল মেনে নিতে পারছেন না দুই মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এজন্য তারা পুনঃনিরক্ষণে চ্যালেঞ্জ সেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। প্রতিষ্ঠান দুইটি হলো নীলফামারী জেলা সদরের বাবড়িঝাড় হাজীপাড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদীর ধারে ভবনচুর দাখিল মাদ্রাসা।
দাখিল মাদ্রাসা বোর্ডের সূত্র মতে, নীলফামারী জেলায় ১৪২টি দাখিল মাদ্রাসা থেকে চলতি বছর পরীক্ষায় তিন হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে দুই হাজার ৯৬৬ জন পাস করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১ জন। অকৃতকার্য্য হয়েছে ৯১৮ জন। পাসের হার ৭৬.৩৬।
শুক্রবার(১১ জুলাই) বিকালে প্রতিষ্ঠান দুইটির সুপারদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে জানা যায়, সদরের চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের বাবড়িঝাড় এলাকার হাজিপাড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ৯জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে সাধারন শাখায় ৩ জন ও বিজ্ঞান শাখায় ৬ জন। অপরদিকে জলঢাকা উপজেলার ভবনচুর দাখিল মাদ্রাসায় সাধারন ৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল। প্রতিষ্ঠান দুটোই ননএমপিও।
হাজীপাড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মওলানা মাহফুজার রহমান বলেন, ফলাফল দেখার পর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক আমরা সকলে কেঁদে ফেলেছিলাম। আমার ৯ শিক্ষার্থী ছিল মেধাবী। আমরা সে ভাবেই তাদের পরীক্ষার জন্য তৈরী করি। বিনা বেতনে শিক্ষকরা পরিশ্রম করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সাল প্রতিষ্ঠিত হয়। দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়া হয় ২০১২ সাল থেকে। শুধু ২০১৫ সালে ৫ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাস করেনি। অন্যান্য বছর ফলাফল অনেক ভাল ছিল। এবার ৯জন শিক্ষার্থীই ছিল মেধাবী। অথচ ৯ জনই অকৃতকার্য্য হলো। এটা মেনে নিতে পারছিনা। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামীকাল শনিবার(১২ জুলাই) ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে পুনঃ নিরক্ষণে আবেদন করবো। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুনঃ নিরক্ষণে তার প্রতিষ্ঠানে ৯জনই পাস করবে।
অপর দিকে জলঢাকা উপজেলার ভবনচুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, তার প্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। প্রতিবার ফলাফল ভাল ছিল। মাঝখানে ২০১৭ সালে দুইজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ পাস করতে পারেনি। এবার ৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল। তিনজনই পাস করার কথা। সেখানে ফলাফল পেলাম তারা সবাই অকৃতকার্য্য হয়েছে। তাই পুনঃ নিরক্ষণে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে ফলাফল ভাল হবে বলে তিনিও আশাবাদী।