মমিনুল ইসলাম রিপন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুটি হত্যা ও একটি হত্যা চেস্টা মামলায় রংপুর বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামানিকের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার (১৩জুলাই) দুপুরে রংপুর মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ মশিউর রহমান খানের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক এই আদেশ দেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল হাদী বেলাল, জানান, আব্দুল হাই প্রামাণিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত সবজি ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন হত্যা মামলার ২০ নম্বর, স্বর্ণ শিল্পী ব্যবসায়ী মুসলিম উদ্দিন মিলন হত্যা মামলার ১২ নম্বর এবং শাহ আলম হত্যা চেস্টা মামলার ১১ নম্বর এবং মমদেল হত্যাচেস্টা মামলার ৬ নম্বর এজাহারভূক্ত আসামী। হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের প্রার্থনা করেলে শাহ আলম হত্যা চেস্টা মামলায় জামিন মঞ্জুর এবং বাকি দুটি হত্যা ও একটি হত্যাচেস্টা মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন বিচারক। আব্দুল হাই প্রামাণিক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং রংপুরের বারের দুইবারের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা আদালতকে জানিয়েছি। আশা করি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
এর আগে রংপুর বারের সভাপতি এ্যাড. শাহেদ কামাল ইবনে খতিব, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য এ্যাড. মোঃ রহিজ উদ্দিন বাদশা, এ্যাড. মোঃ আলী আখতার জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন, এ্যাড. শাহ মোঃ নয়নুর রহমান (টফি), এ্যাড. মোঃ ফজলুল হক (ফাহিম), এ্যাড. শফিকুল ইসলাম মিন্টু, রংপুর বারের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোঃ জিয়াউল হাসান (জিয়া) সহ ২০/২৫ জন আইনজীবী তার বিরুদ্ধে চারটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন ও শুনানী করেন।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন জানান, তিনি নির্দোষ। হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি আত্মসমর্পন করেছেন। আমরা তার সব কাগজপত্র আদালতে দিয়েছি। আদালত একটি মামলা জামিন এবং তিনটি মামলায় জামিন না মঞ্জুর করেছে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।