আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৩১ জুলাই ২০২৫ ● ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৩১ জুলাই ২০২৫

বিএনপি-এনসিপি সংঘর্ষ, আহত ৩০

বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, রাত ১২:০০

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মুরাদনগর বাজারসংলগ্ন এলাকায় দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে 'ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের' অভিযোগ এনে বিকেলে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে এনসিপির স্থানীয় ইউনিট। অন্যদিকে, একই সময়ে এবং একই স্থানে বিএনপির পক্ষ থেকেও একটি সাংগঠনিক কর্মসূচি পালনের ঘোষণা ছিল।

দুপক্ষের কর্মসূচি একই সময়ে শুরু হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে বাগবিতণ্ডা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে ৬ সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং পথচারীরা নিরাপদ আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

জানা গেছে, মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ৬ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত বাকিদের স্থানীয় ও কুমিল্লা জেলা সদরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ও উপজেলা এনসিপির তত্ত্বাবধায়ক মিনাজুল হক বলেন, উপদেষ্টার আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে আমাদের বিক্ষোভ মিছিলটি শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু বিএনপির লোকজন অতর্কিত আমাদের ওপর হামলা চালায়। বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিয়েছে। যার ভিডিও আছে। এ সময় আমাদের প্রায় অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন বলেন, ছাত্রদলের ব্যানারে আমাদের একটি মিছিলের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু এনসিপি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এসে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে বিএনপির ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে ওমর উল্লাহ নামে যুবদল কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। 

মুরাদনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিন কাদের খান জানান, এনসিপির কর্মসূচি সম্পর্কে তারা আগে থেকেই জানতেন, কিন্তু একই স্থানে বিএনপির কর্মসূচি ছিল তা জানা ছিল না।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংঘর্ষের পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

 

মন্তব্য করুন


Link copied