নিউজ ডেস্ক:ভারতে নির্বাচনী ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ কর্মসূচি স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (স্যার) নিয়ে বিরোধী শিবিরের লড়াই তীব্র হচ্ছে।
দিল্লিতে সোমবার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের জরুরি বৈঠকে এই আন্দোলনের জাতীয় রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে, যেখানে থাকবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও অন্যান্য প্রদেশ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা।
সূত্রের খবর, এই বৈঠক মূলত বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবং পরবর্তী রাজ্যগুলো — পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরালা ও তামিলনাড়ু —– তে ‘স্যার’ ইস্যুতে বিরোধী জোটের শাসনপ্রার্থীদের ব্যাপক সমর্থন ও দেশের বড় আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ডাকা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত নৈশভোজ ও বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুলকে পরামর্শ দেন যে, ‘স্যার’ ইস্যুতে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে এবং বিরোধী দল হিসেবে দেশের নানা প্রান্তে একযোগে তীব্র বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে হবে।
অভিষেক স্পষ্ট জানিয়েছেন, “ইন্ডিয়া জোটের কেউই ‘স্যার’ ইস্যুতে সুর নরম করবে না।”
বর্তমানে চলমান সংসদের বাদল অধিবেশনে বিরোধী সংসদ সদস্যরা সংসদের দুই কক্ষে ‘স্যার’ নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। বিক্ষোভ খারিজ হলেও সংসদের মকর দ্বারের সামনে বিরোধীরা প্রতিদিন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন।
আগামীকাল দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও করার কর্মসূচিও প্রস্তুত রয়েছে বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে।
কংগ্রেস প্রধানরাও এই আন্দোলনে বিরোধী বিভিন্ন দলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন এবং তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থেকে ‘স্যার’ বিরোধী দেশব্যাপী গণআন্দোলন তীব্র করার পরিকল্পনা করছেন। বিশেষ কথা হলো, কয়েকদিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইন্ডিয়া’ জোট থেকে আলাদা হলেও, ‘স্যার’ ইস্যুতে আপ (আম আদমি পার্টি) এই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে।
সোমবারের ঘেরাও কর্মসূচিতে আপ সাংসদদের উপস্থিতি বিরোধী শিবিরে ইতিবাচক স্বাগত পেয়েছে।
এখন ‘স্যার’ ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ তালিকা সংশোধন কর্মসূচির বিরুদ্ধে দেশের বৃহত্তর অংশে বিরোধীদের সংঘবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কংগ্রেস ও অন্যান্য দলের সক্রিয়তা বেড়ে চলেছে।
এই আন্দোলন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরালা ও তামিলনাড়ু নির্বাচনের আগে চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কর্মসূচি পরিচালিত হবে।
তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ ও কংগ্রেসের প্রাথমিক উদ্যোগ একযোগে সামনে আসায় বিরোধী শিবিরের ‘স্যার’ বিরোধী আন্দোলনের প্রভাব আগামী দিনে দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।