আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৫ আগস্ট ২০২৫ ● ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৫ আগস্ট ২০২৫

কুড়িগ্রামে বিয়াই- বিয়ানীর প্রেমলীলা, অত:পর বিয়ানীর আত্মহত্যা

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, বিকাল ০৭:০০

Advertisement Advertisement

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: বিয়াইয়ের সাথে বিয়ানীর প্রেমের সম্পর্ক। সেই সাথে দৈহিক মেলামেশার ঘটনাটি এলাকাবাসীর মাঝে জানাজানি হলে আত্মহত্যা করেন বিয়ানী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার(১৩আগষ্ট) দিবাগত রাতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সোনালীরকুটি গ্রামে।

জানা যায়, ওই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিমের মেয়েকে বিয়ে দেন ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চিলকিরপাড় গ্রামের মিজানের ছেলের সঙ্গে। বিবাহ সূত্রে তার মেয়ের শ্বশুর মিজান নিয়মিত বিয়ানীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন।

এলাকাবাসী জানায়, আত্মহত্যাকারীর স্বামী আব্দুল হাকিম ও তার ছেলে বাইরে কাজের সন্ধানে থাকার সুবাদে প্রায় বিয়াই মিজান তার বাড়ি যাতায়াত করায় প্রেমলীলায় মেতে উঠেন বিয়াই-বিয়ানী।  

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিয়ানী ও বিয়াইসহ নিজ মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যান ডাক্তার কাছে। পরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিয়াই মিজান চলে আসেন বিয়ানীর বাড়িতে। রাতের অন্ধকারে বিয়ানীর নিজ ঘরে বিয়াই ঢুকে অনৈতিক মেলামেশায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

আপওিকর অবস্থায় আত্মহত্যাকারীর দেবর তাইজুদ্দিন স্ত্রী জহুরা বেগম ও মহুবরের স্ত্রী জোৎসনা তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেলে বিয়াই মিজান দ্রুত পালিয়ে চলে যান।

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে ওই দিন বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিয়ানী।

আত্মহত্যাকারীর ছোট দেবর তাইজুদ্দিনের স্ত্রী জহুরা বেগম বলেন, মঙ্গলবার রাতের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরের দিন বিভিন্নভাবে এলাকাবাসীকে গালিগালাজ করে। অবশেষে লজ্জায় বুধবার দিবাগত রাতে তিনি আত্মহত্যা করেন।
এবিষয়ে ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুবরণের বিষয়টি শুনে পুলিশকে খবর দিয়েছি।

কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুল্লাহ জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন


Link copied