আর্কাইভ  রবিবার ● ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বৃদ্ধি

সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বৃদ্ধি

দিনাজপুরে চিরকুট লিখে হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতক স্থান পেলো এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে

দিনাজপুরে চিরকুট লিখে হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতক স্থান পেলো এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে

মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে প্রাণ হারালেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ

মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে প্রাণ হারালেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ

দেখুন কে কোন গ্রুপে

২০২৬ বিশ্বকাপে ৪৮ দল
দেখুন কে কোন গ্রুপে

রাজশাহীতে ৪ মরদেহ

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে, খাবারের অভাবে’

শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫, দুপুর ০২:১৪

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: রাজশাহীতে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী-সন্তানদের মেরে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। এসময় মিনারুলের মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। যাতে লেখা- ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে, খাবারের অভাবে’।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে পবার বামুনশিকড় এলাকায় একটি বাসা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।নিহতরা হলেন- মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী মনিরা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) ও দেড় বছর বয়সী মেয়ে মিথিলা।

পুলিশ বলছে, মিনারুল স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে, মেয়েকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।

উদ্ধার করা চিরকুটে লেখা রয়েছে- ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে, আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলে-মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো। কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’

স্থানীয়রা জানান, মিনারুল একসময় জুয়া খেলতেন ও মাদকাসক্ত ছিলেন। এতে তিনি অনেক টাকা ঋণ করেন। সম্প্রতি বাবার জমি বিক্রি করে ঋণ কিছুটা শোধ করলেও আর্থিক সংকটে ছিলেন। অনেক সময় দুবেলা খাবার জুটতো না।

রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছে পুলিশ।

মন্তব্য করুন


Link copied