আর্কাইভ  শনিবার ● ১৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ১৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরে শিবির সভাপতি

রাজনীতিবিদদের অতিমাত্রায় ক্ষমতালোভি হওয়ার বিষয়টি আমরা সাপোর্ট করি না

শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, দুপুর ০৩:১৪

Advertisement Advertisement

মমিনুল ইসলাম রিপন: জুলাই ঘোষণা পত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকাসহ  উল্লেখযোগ্য  বাদ যাওয়া ইস্যু সংযুক্তকরণ, গণহত্যার উল্লেখযোগ্য বিচার এবং সংস্কার ছাড়াই বর্তমানে রাজনীতিবিদদের অতিমাত্রায় ক্ষমতালোভি হওয়ার বিষয়টি আমরা সাপোর্ট করি না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে মহানগর শিবির আয়োজিত এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায়  জিপিএ ফাইভ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন তিনি। মহানগর শিবির সভাপতি নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুরন রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ। বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, মহানগর আমীর এটিএম আজমখান, শিবিরের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক গোলাম পাটোয়ারী, ব্যবসা-শিক্ষা বিষয়ক গোলাম জাকারিয়া, সম্পাদক আনিছুর রহমান। সঞ্চালনা করেন মহানগর শিবির সেক্রেটারী আনিছুর রহমান।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ শহীদ ও আহত পরিবারগুলোর সাথে আমরা যখন  মতবিনিময় করেছি। তাদের বক্তেব্যের সাথে আমরাও একমত। তারাও নির্বাচন চায়, তার আগে গণহত্যার উল্লেখযোগ্য বিচার তারা চায়।’

সংস্কার, বিচার এবং জুলাই ঘোষণাপত্রের অসংগতি দূর না করেই  রাজনীতিবিদরা অতিমাত্রায় ক্ষমতালোভি হচ্ছে অভিযোগ করে শিবির সভাপতি বলেন, ‘পাশাপাশি জুলাই যে ঘোষণাপত্র দেয়া হয়েছে। সেখানে অনেকগুলো গুরুত্বুপর্ন ইস্যু বাদ পড়েছে। এরমধ্যে যারা এখানে স্টেকহোল্ডার ছিল, অবদান রেখেছে; মিডিয়া কর্মী; বিদেশে যারা অবস্থান করেছে রেমিট্যান্স যোদ্ধা; যারা অনলাইন এক্টিভিস্ট ছিল; প্রত্যেকটা স্টেকহোল্ডারের অংশগ্রহন ছিল, তাদের নাম উল্লেখ করা। কিন্তু সেটা করা হয় নাই। এটাতে আমরা আশাহত। পাশাপাশি সংস্কারগুলো, যে একটি স্থায়ী সংস্কার, স্থায়ী পরিবর্তনের দিনে বাংলাদেশ যায়, সেটা আমরা চাই। কিন্তু শহীদ পরিবার,দেশের মানুষের চাওয়াটাকে উপেক্ষা করে রাজনীতিবিদরা অতিমাত্রায় ক্ষমতালোভি হওয়া এটা আমরা কখনই সাপোর্ট করি না।’

এক বছরে জুলাই স্পিরিটকে ধারন করে যে  সংস্কার হওয়া উচিত ছিল সেটা না হওয়াটা দুঃখজনক উল্লেখ করে শিবির সভাপতি বলেন, ‘ রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন না চাওয়ার কারণ দেখি না আমরা। নির্বাচন চাওয়াটাই খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। জুলাই আগস্টের পর যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এখানে দুঃখজনক বিষয় হলো যে, জুলাই স্পিরিটকে ধারন করে যে সংস্কারগুলো গত এক বছরে হয়ে যাওয়ার কথা ছিল এবং ফ্যাসিবাদের যে ফ্রেমিং এখানে তৈরি করা হয়েছে। স্টাকচারটা গত ১৫ বছরে তৈরি হয়েছে। এটাকে ভেঙ্গে একটা নতুন ফ্রেম দাড় করানোর কথা ছিল। কিন্তু এখানে দুঃখজনক হলেও সত্য যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সেই ইচ্ছে সেই উদারতার ঘাটতি আমরা লক্ষ করছি।’

রাজনীতিবিদরা পুরো ফ্যাসিবাদের ফ্রেমে নতুন ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেস্টা করছে অভিযোগ করে শিবির সভাপকি বলেন, ‘ ঐক্যমত কমিশনের বেশ কিছু রিপোর্ট আমাদের কাছে এসেছে। মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের মধ্যে ডিবেটগুলো হয়েছে। সেগুলো আমরা দেখেছি। সেখানে আমরা খুবই আশাহত হয়েছি। আমাদের রাজনীতিবিদ যারা তারা ফ্রেমিংটাকে ভাংতে চাচ্ছে না। এর মুল কারন হচ্ছে, যে তারা কি আবার নিজেদের মধ্যে ফাসিবাদের চর্চা দীর্ঘদিনের যে স্টাকচার এটার উপর থেকেই আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ  কায়েম করতে চায় কিনা। এটার যথেষ্ট প্রশ্ন জাগে আমাদের মাঝে। ছাত্রশিবির একটি সচেতন ছাত্র সংগঠন হিসেবে আমাদের জায়গা থেকে আমরা বিষয়গুলো অবজার্ভ করছি। ’ 

মন্তব্য করুন


Link copied