নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ আসন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল শুনানিকালে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার উপস্থিতিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রুমিন ফারহানার কর্মীরাই এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। রোববার (২৪ আগস্ট) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে এ অভিযোগ তুলেন তিনি।
ফেসবুকে একটি পোস্টে সারজিস আলম বলেন, ‘একদিকে জনাব রুমিন ফারহানার পোষ্য কর্মীরা এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকে শারীরিকভাবে আঘাত করছে, আর অন্যদিকে জনাব রুমিন ফারহানা গাল মুখ ফুলিয়ে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও আইনজীবী ভাব নিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে দেখেও না দেখার ভান করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টকশোতে বড় বড় সুশীলতা দেখানো যায়, লেকচার দেয়া যায়। কাজ দিয়ে প্রকাশ পায়- কে সুযোগ পেলে আবার আগের পথে হাঁটবে আর কে সংশোধন হবে।’
ইসি অফিসে আপিল শুনানিতে যোগ দিতে গিয়ে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহও বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানার কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ করে সারজিস আলম বলেন, ‘তার (আতাউল্লাহ) অপরাধ শুধু সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিরোধিতা করে আপিল করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি কি আওয়ামী লীগের চরিত্র ফিরতে চায়? জোর যার, মূলুক তার বানাতে চায়? এই সুযোগ আর দেয়া হবে না।’
ইসি প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলে সারজিস বলেন, ‘ইসির ভেতরে যদি একজন শীর্ষ নেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে এই অথর্ব ইসি কীভাবে সারা বাংলাদেশে অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং সুষ্ঠু ভোট সম্পন্ন করবে?’
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের ওপর জমা হওয়া আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর দুপুর ১টার দিকে শুনানিকালে দু’পক্ষে ধাক্কাধাক্কি-হাতাহাতি-কিল-ঘুষির ঘটনা ঘটে।
এনসিপি’র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, তিনিসহ তার দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। হামলা চালিয়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা ও তার সঙ্গে থাকা দলীয় নেতা-কর্মীরা।
এদিকেক রুমিন ফারহানার দাবি করে বলেন, আতাউল্লাহ পরিচিত মুখ নন। তিনি এনসিপি থেকে এসেছেন, না জামায়াত থেকে এসেছেন, তা তিনি জানেন না। প্রথমে তাকে (রুমিন ফারহানা) ধাক্কা দেয়া হয়েছে। তারপর তো আর তার লোকজন তো বসে থাকবেন না। তার লোকজনও জবাব দিয়েছেন।