আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ১৮ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যোগ্যতা ছাড়াই ১২ বছর ধরে বেরোবিতে শিক্ষক, তদন্তে কমিটি

যোগ্যতা ছাড়াই ১২ বছর ধরে বেরোবিতে শিক্ষক, তদন্তে কমিটি

বেরোবির সেই আওয়ামী পন্থী শিক্ষককে অব্যাহতির দাবি

বেরোবির সেই আওয়ামী পন্থী শিক্ষককে অব্যাহতির দাবি

সন্তানের সামনে অভিভাবকদের যেসব কাজ করা উচিত নয়

সন্তানের সামনে অভিভাবকদের যেসব কাজ করা উচিত নয়

বেরোবিতে প্রভোস্ট ছাড়া হল, এবার খাবারে মিলল বড় আকৃতির পোকা

বেরোবিতে প্রভোস্ট ছাড়া হল, এবার খাবারে মিলল বড় আকৃতির পোকা

যোগ্যতা ছাড়াই ১২ বছর ধরে বেরোবিতে শিক্ষক, তদন্তে কমিটি

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাত ১০:৪০

Advertisement

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান  এবং জীব ও  ভূ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড.ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে নিয়োগের শর্ত পূরণ না করেই  এক যুগ  (১২ বছর)  শিক্ষকতা করার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ঘটনা উদ্‌ঘাটনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 
 
 পত্রিকায় ' আবেদনের যোগ্যতা না থাকলেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছর ধরে শিক্ষক'  সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
 
আজ সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর)  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
 
মার্কেটিং  বিভাগের শিক্ষক ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন  অধ্যাপক ড.ফেরদৌস রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়।  সদস্য সচিব হিসেবে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক  অধ্যাপক ড. শাহ জামান এবং সদস্য হিসেবে আছেন  বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও কলা অনুষদের ডিন ড.শফিক আশরাফ। 
 
এই কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
 
নুসন্ধানে জানা যায় যে,  ২০০৩ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক পাশ করা ইমদাদুল হক ২০১৪ সালে বেরোবিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান।এর আগে তিনি ২০১২ সালে অস্থায়ী ভিত্তিতে (এ্যাডহকে) শিক্ষক হিসেবে ঐ বিভাগে নিয়োগ পান।
 
তবে তার আবেদনের সময় জমা দেয়া কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিনি আবেদনের প্রাথমিক শর্তই পূরণ করেননি এই পদে আবেদন করতে হলে যে সব শর্ত পূরণ করতে হতো, তার মধ্যে অন্যতম ছিল, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে এবং স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের যেকোনো একটিতে (৪.০০ ভিত্তিক স্কেলে কমপক্ষে ৩.৫০  থাকতে হবে) অথবা ডিভিশন ভিত্তিক পদ্ধতিতে প্রথম শ্রেণি থাকতে হবে ও এসএসসি বা এইচএসসি’র যেকোনো একটিতে ন্যূনতম প্রথম বিভাগ/এ গ্রেড থাকতে হবে।
 
এরপর তিনি ২০০৩ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স এবং ২০০৮ সালে একই বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন, যেখানে তাঁর অনার্সে সিজিপিএ  ছিল ৩.২৬ এবং মাস্টার্সে ৩.৩৯ (৪.০০ স্কেলে)।
 
বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী  ইমদাদুল হক বিজ্ঞপ্তির দ্বিতীয় শর্ত—স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের যেকোনো একটিতেও ৩.৫০ এই শর্তটি পূরণ করেননি।তবে ইমদাদুল হক তার আবেদনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের উভয়ই  প্রথম বিভাগ উল্লেখ করেন। 
 
যদিও  ২০০১ সাল থেকেই বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গ্রেডিং সিস্টেম চালু হয়।বিশেষ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সিস্টেম চালু ছিল। ফলে তাঁর অনার্স ও মাস্টার্সের ফলাফল আর ডিভিশন ভিত্তিতে গণ্য হওয়ার কথা নয়।

মন্তব্য করুন


Link copied