আর্কাইভ  রবিবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ২৩ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঠাকুরগাঁও ব্যবসায়ীর জীবদ্দশায় নিজের জন্য কবর খনন

ঠাকুরগাঁও ব্যবসায়ীর জীবদ্দশায় নিজের জন্য কবর খনন

রক্তলাল হয়ে উঠবে চাঁদ, কখন দেখবেন এই মহাজাগতিক মুহূর্ত?

রক্তলাল হয়ে উঠবে চাঁদ, কখন দেখবেন এই মহাজাগতিক মুহূর্ত?

জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের চাপ নির্বাচন পেছানোর কৌশল

জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের চাপ নির্বাচন পেছানোর কৌশল

আ.লীগের ক্লিন ইমেজের লোকেরা জাপায় এলে মনোনয়ন পাবে: কো-চেয়ারম্যান

আ.লীগের ক্লিন ইমেজের লোকেরা জাপায় এলে মনোনয়ন পাবে: কো-চেয়ারম্যান

লালমনিরহাটের মেধাবী মিথুনের স্বপ্ন ঝুঁকিতে, সহায়তার হাত বাড়ানোর আহ্বান

রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সকাল ০৯:২৬

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ‎লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র মিথুন রায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছেন। কিন্তু ভর্তি হতে প্রয়োজনীয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করতে না পারায় তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন এখন বড় সংকটে পড়েছে।

‎মিথুনের পরিবারে নিজের বলতে এক টুকরো জমিও নেই। অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করে দিন আনা দিন খাওয়া চলে মিলন চন্দ্রের পাঁচ সদস্যের সংসার। এই চরম দারিদ্র্যের মধ্যেও মিলন চন্দ্র তাঁর সন্তানদের লেখাপড়ার প্রতি অসম্ভব আগ্রহী। তাঁর বড় ছেলে মিথুন ছোটবেলা থেকেই ছিল ভীষণ মেধাবী। দারিদ্র্যের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেও মিথুন তার পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। ইটাপোতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে ৪.৭২ জিপিএ নিয়ে এসএসসি পাস করার পর সে ভর্তি হয় রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে।

‎মিথুনের মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমার মিথুন নাকি ইঞ্জিনিয়ার হবে। এজন্য মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে টাকা দিয়েছি। এখন ভর্তি হতে ৪০-৫০ হাজার টাকা লাগে। আমরা গরিব মানুষ, এত টাকা কোথায় পাবো? কেউ যদি আমার বেটাকে টাকা দিয়ে পড়ার সুযোগ করে দেয়, আমি ভগবানের কাছে তার জন্য আজীবন আশীর্বাদ করব।”

‎বাবা মিলন চন্দ্র রায়ও একই আকুতি জানান, “খেয়ে না খেয়ে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি। তার স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু এত টাকা আমাদের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। কেউ সাহায্য করলে মিথুন একদিন বড় ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশের সেবা করবে।”

‎মিথুন বলেন, “শৈশব থেকে প্রকৌশলী হয়ে দেশের জন্য কাজ করার স্বপ্ন দেখেছি। অভাব নামক দানব সবসময় পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও পরিশ্রম করে ডুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু ভর্তি ফি, যাতায়াত আর আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে এত টাকা দেওয়া আমাদের পরিবারের পক্ষে একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না। মাঝপথে স্বপ্নের অপমৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে বিনীতভাবে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানাচ্ছি।”

‎এ বিষয়ে মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আসাদুল হক মন্টু বলেন, “মিথুন অত্যন্ত মেধাবী একজন ছাত্র। তার পড়াশোনা থেমে যাওয়া শুধু তার নয়, সমাজের জন্যও ক্ষতি হবে। তাই আমি সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, মিথুনের স্বপ্ন পূরণে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।”

‎বর্তমানে মিথুনের স্বপ্ন পূরণে অর্থ সহায়তার জন্য স্থানীয়ভাবে সচেতন মহলে আলোচনা চলছে। তবে এখনো পর্যাপ্ত সহায়তা মেলেনি।

মন্তব্য করুন


Link copied