 
                                                                        
                                                                        
                                        
নিউজ ডেস্ক: এক সময়ের আমদানি নির্ভর হিলি স্থলবন্দরে বেড়েছে রপ্তানি। চলতি বছরের জুন মাস থেকে শুরু হয়েছে ভারতে দেশীয় কম্পানির বিভিন্ন খাদ্যপণ্য রপ্তানি। এ স্থলবন্দর দিয়ে তিন মাসে ৩ হাজার ১২৫ টন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন।
বন্দরে রপ্তানি বাণিজ্য দীর্ঘ স্থায়ী করার দাবি বন্দরের ব্যবসায়ীদের।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, বন্দরের অভ্যন্তরে ও বাহিরে ভারতে রপ্তানির জন্য দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বাংলাদেশি পণ্য বোঝাই ট্রাক।
এদিকে হিলি কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ম্যাংগো ফুড ড্রিংকস, লিচি ডিংকস, কোমল পানীয়, সুইট টোস্ট, জেলি, চকলেট, চকোবিন টফি, মটর ভাঁজা, কটন, রাইস ব্র্যান্ড ফেডি এসিড, রাইস ব্র্যান্ড ক্রুড অয়েলসহ আরো বেশকিছু পণ্য। তবে একই রাস্তা দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলায় নিদিষ্ট সময়ের বাহিরে পণ্য রপ্তানি কিংবা আমদানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রাশেদ বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও এ বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি শুরু হয়েছে এবং প্রতিদিন অনেক পণ্য ভারতে রপ্তানি করছি আমরা। ভারতে আমাদের দেশের অনেক পণ্যের চাহিদা আছে। সুযোগ-সুবিধা পেলে আমরা আরো রপ্তানি করতে পারব। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
তিনি বলেন, আমরা চাইলেও ইচ্ছে মতো রপ্তানি করতে পারছি না, কারণ একমুখী রাস্তার কারণে রপ্তানি করলে আমদানি করতে পারি না, আবার আমদানি করলে রপ্তানি করতে পারি না। নিদিষ্ট সময়ে কিছু সংখ্যক ট্রাকে পণ্য রপ্তানি করা যাচ্ছে, সেজন্য রাস্তা প্রশস্ত করা দরকার।
বাংলা হিলি সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও রপ্তানিকারক ফেরদৌস রহমান বলেন, শুধু ড্রিংকস আর বেকারি খাদ্য নয় বরং আমাদের দেশের অনেক সবজির চাহিদা আছে ভারতে। তবে চাইলেও আমরা সেগুলো রপ্তানি করতে পারি না। কারণ ভারতের হিলি অভ্যন্তরে কোয়ারেন্টাইন অফিস নেই।
এ সময় দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা গেলে এই বন্দর দিয়ে আরো পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে এবং দেশে বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে বলেও সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি আগের তুলনায় বেড়েছে। আগে গুটি কয়েক পণ্য রপ্তানি হলেও এখন অনেক পণ্য ভারতে যাচ্ছে। রপ্তানি পণ্যে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
তিনি বলেন, চলতি বছরের জুন মাস থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ৩ হাজার ১২৫ টন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে, যা থেকে আয় হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকার মতো।