নিউজ ডেস্ক: রংপুর নগরীর ধাপ হাজী পাড়ার তানজিমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ইমাম হাসান (৮) নামে একজন শিশুর ম'রদেহ উ'দ্ধার করেছেন প্রশাসন। শনিবার আনুমানিক রাত ৭টার পর ওই শিশুর শয়ন কক্ষে শিশুটির লা'শ পাওয়া যায়। শিশুটি ২০২২ সালে থেকে এই মাদ্রাসায় পরাশুনা করে আসছিলো। পিতা শহিদুল ইসলাম ও মাতা ফাতেমা বেগম দম্পতির সন্তান ছিলেন ইমাম হাসান।
গ্রামের বাসা গাইবান্ধা জেলার খামার বাগচি এলাকার সাদুল্ল্যাপুর থানার বাসিন্দা। তার বাবা শহিদুল ইসলাম পেশায় একজন চাকুরিজীবি। চাকুরী সুত্রে রংপুরেই বসবাস করতেন। শহিদুল ইসলামের ২ বউ ও ঘর সংসার থাকায় তেমন চোখে দেখতেন না। শিশুটি দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক কলহে অশান্তিতে ভুগছিলেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলেন, শিশুটি পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন। তবে পারিবারিক সমস্যার কারণে শিশুটি সবসময় চিন্তায় চিন্তায় থাকতেন। যেহেতু শিশুটির বাবার দুই ঘর সংসার এতে কিছু ঝামেলা ছিল।
শিশুটি মারা যাবার আগে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে গিয়েছিলেন আর বাড়ি থেকে ফিরে মাদ্রাসায় এসে শিশুটি মা'রা যান। মাদ্রাসার হুজুর জানান ঘটনার দিনে শিশুটি মাদ্রাসায় রেখে গেলে যে রুমে থাকতেন হঠাৎ করে সেই রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর তাকে ডাকাডাকি করলে না শুনলে শিশুটির বাবাকে ফোন দিলে শিশুর বাবা বলেন ওকে তালা দিয়ে রাখেন ও মরে গেলেও আমি যাবো না ওর লা'শ নিয়ে আসবো,আপনারা পারলে ওকে হাত-পা বেধে পিটান,রুমের তালা লাগায় দিন ও মা'রা গেলে যাবে ওর লা'শ নিয়ে যাবো আমি ।
তারপরও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিশুটির বাবাকে অনুরোধ করলেও শোনেননি সন্তানের পিতা শহিদুল ইসলাম বরং তিনি বলেন ও মা'রা গেলে কিছু হবে না আপনাদের মাদ্রাসায় কেউ কিছু বলবেনা আমি তার গ্যারান্টি দিলাম। তবে প্রশাসন, গোয়েন্দা দপ্তর ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অনুমান করেছেন যে এই মৃ'ত্যু'টা আসলেই র'হস্যজনক। মামলার তদন্ত অফিসার বলেন মৃ'ত্যু'র সঙ্গে কে জড়িত তা আমরা খতিয়ে দেখছি তদন্ত রিপোর্ট আসলে সেটা বোঝা যাবে এটি হ'ত্যা নাকি আ'ত্ম'হ'ত্যা। তদন্ত চলমান রয়েছে এই হ'ত্যা'র সঙ্গে কে জড়িত মাদ্রাসার শিক্ষক নাকি সন্তানের বাবা।