আর্কাইভ  সোমবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ১ পৌষ ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
রংপুরে ৩ মাসে ১৩ খুন, ধর্ষণ ৩৭

রংপুরে ৩ মাসে ১৩ খুন, ধর্ষণ ৩৭

রাজনীতির ‘হার্টবিট’ এখন এভারকেয়ার

রাজনীতির ‘হার্টবিট’ এখন এভারকেয়ার

সুদানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ

সুদানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ

হাদির ওপর হামলাকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন

সায়েরের চাঞ্চল্যকর তথ্য
হাদির ওপর হামলাকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন

রংপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ

বুদ্ধিজীবী হত্যার মাধ্যমে দেশকে মেধাশূন্য  করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানী হানাদাররা

রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকাল ০৫:৪৩

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদক, মমিনুল ইসলাম রিপন রংপুর।রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো শহিদুল ইসলাম বলেছেন, দেশে আর কারো বাক স্বাধীনতা খর্ব করতে দেয়া হবে না। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যার মাধ্যমে দেশকে মেধাশূন্য করার চেষ্টা করেছিল। দেশের আপামর জনসাধারণ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। এ জাতি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।  


(১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রংপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. আশরাফুল ইসলাম ও জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন। রংপুর জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ এনামুল আহসান এতে সভাপতিত্ব করেন। 


সভায় বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয় যখন অনিবার্য, ঠিক সেই মুহূর্তে পরাজয়ের প্রাক্কালে মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ঘাতক বাহিনী। শুধু ঢাকাতেই নয়, সারা দেশেই বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে যুক্ত মানুষদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই হত্যাকাÐের ছিল দুটি পর্যায়। ২৫ মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে হানাদার সেনারা রাজধানীতে গণহত্যা শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ নিরীহ জনসাধারণের পাশাপাশি শিক্ষক, চিকিৎসকদেরও হত্যা করে। 


বক্তারা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শুরুটা ঢাকা থেকে হলেও এরপর থেকে হানাদাররা সারা দেশের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক, সংস্কৃতিসেবীসহ মেধা মনন সৃজনশীল কাজে যুক্ত মানুষদের বেছে বেছে হত্যা করতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধে শেষ পর্যায় তারা এই বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষদের নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য তালিকা করে হত্যা চালাতে থাকে।  


এসময় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগকে ধারণ করে বৈষম্যহীন উদার ও গণতান্ত্রিক একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের সঙ্গে নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসার আহŸান জানানো হয়।


এর আগে, সকালে রংপুর টাউন হল বধ্যভ‚মিতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 


বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী এবং পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরসমূহ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

মন্তব্য করুন


Link copied