আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ৫ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরে পুলিশে চাকরি  পেয়ে আবেগাপ্লুত তারা

রংপুরে পুলিশে চাকরি  পেয়ে আবেগাপ্লুত তারা

সরকার বিশেষ রাজনৈতিক শক্তির কাছে মাথা নত করায় আন্দোলনে জামায়াত

রংপুরে জামায়াতের সেক্রেটারি
সরকার বিশেষ রাজনৈতিক শক্তির কাছে মাথা নত করায় আন্দোলনে জামায়াত

ইউনূসের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা, হাসিনার পলায়নের সাথে সাথে তিস্তা থেকে বাদ পড়লো ভারত

চীনের চুড়ান্ত পদক্ষেপ
ইউনূসের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা, হাসিনার পলায়নের সাথে সাথে তিস্তা থেকে বাদ পড়লো ভারত

ছাত্রদের ঝরে কাঁপছে প্রতিবেশীর ঘর ! মোদির সামনে বাংলাদেশের ছায়া!

ছাত্রদের ঝরে কাঁপছে প্রতিবেশীর ঘর ! মোদির সামনে বাংলাদেশের ছায়া!

বাংলাদেশি পাসপোর্ট-এনআইডি থাকার বিষয়ে যা বলছেন টিউলিপ

শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাত ১০:২০

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ এমপি ও সাবেক শ্রম মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে ভুয়া নথি তৈরি করেছে। তার দাবি, এসব নথি দিয়ে তাকে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ-এ প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট (২০০১ সালে, বয়স তখন ১৯ বছর) এবং একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (২০১১ সালে) করেছিলেন। এমনকি নথিতে উল্লেখ আছে যে তিনি ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট নবায়নের আবেদনও করেছিলেন।

কিন্তু টিউলিপ সিদ্দিক এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তার মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ প্রায় এক বছর ধরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। তারা এখন জাল নথি তৈরি করেছে। এগুলো একেবারেই ভুয়া এবং জালিয়াতির সব চিহ্ন এতে বিদ্যমান।

টিউলিপের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, নথিগুলোর ভেতরে অনেক অসঙ্গতি আছে। পরিচয়পত্রে যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, সেটি আসলে টিউলিপ সিদ্দিকের খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি। তিনি কখনো ঢাকায় বসবাস করেননি।

তারা বলছে, আইডি কার্ডটি পুরোনো ফরম্যাটের, নতুন ‘স্মার্ট কার্ড’ নয়। 

তার পরিবার জোর দিয়ে বলছে, তিনি শুধু শিশুকালে একবার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন, প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় কখনো ব্যবহার করেননি।

বর্তমানে বাংলাদেশে একটি দুর্নীতি মামলায় তার নাম এসেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করে তার মা, ভাই ও বোনের জন্য জমি বরাদ্দ নিয়েছিলেন। মামলাটি চলছে তার অনুপস্থিতিতে এবং তিনি এর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।

এ বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বক্তব্য, এটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও ভিত্তিহীন মামলা। পুরো প্রক্রিয়াটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া কিছু নয়। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বানানো হয়েছে।

২০১৫ সালে টিউলিপ সিদ্দিক স্বামীসহ ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন। তখন তিনি বক্তব্যে বাংলাদেশকে ‘আমাদের দেশ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী, বিরোধী দলের নেত্রীও নারী। এ বিষয়টি আমাদের জন্য গর্বের।

কিন্তু ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যের এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আমি ব্রিটিশ এমপি। আমাকে বাংলাদেশি বলবেন না। আমি বাংলাদেশি নই।

এই দুই ঘটনার কারণে তার রাজনৈতিক পরিচয় ও বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে।

টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তিনি কখনো বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি এবং শিশুকালের পর থেকে তিনি কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্টও ব্যবহার করেননি। তাদের মতে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও সাজানো নথি তৈরি করেছে।

মন্তব্য করুন


Link copied