আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ● ২ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২৫
আ. লীগের ভোটাররা কোন দিকে যাবে?

আ. লীগের ভোটাররা কোন দিকে যাবে?

হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হাতে আমন্ত্রণপত্র দিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান
হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হাতে আমন্ত্রণপত্র দিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা

তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবিতে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

রংপুর অচল করার হুঁশিয়ারি
তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবিতে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

শেখ হাসিনা সমস্ত অপরাধের নিউক্লিয়াস: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা সমস্ত অপরাধের নিউক্লিয়াস: চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই আন্দোলনে ‘মাস্টারমাইন্ড’ কেউ ছিল না: আসিফ মাহমুদ

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, রাত ১০:০৪

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রধান বা মাস্টারমাইন্ড কেউ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জেরার সময় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তিনি এ কথা বলেন।

এদিন বিকেল ৩টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এ ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে অবশিষ্ট জবানবন্দি দেন আসিফ মাহমুদ। পরে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

প্রথমেই তাকে জেরা করেন শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেনের আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন অভি। জেরার একপর্যায়ে আসিফকে তিনি বলেন, আপনাদের আন্দোলনে কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিল কি না। জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘গত বছরের ৫ জুন কোটাপ্রথা পুনর্বহালের রায়ের পর আমরা ৫৮ জন সমন্বয়ক-সহসমন্বয়ক মিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু করি। এতে কোনো রাজনৈতিক দলের ইন্ধন ছিল না। আন্দোলনে প্রধানও কেউ ছিল না। সমন্বয়কদের সবার মর্যাদা সমান ছিল।’

যোগাযোগের মাধ্যম কি ছিল—আইনজীবীর এমন প্রশ্নে আসিফ মাহমুদ বলেন, যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে আমরা ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেছি।

তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়েছে কি না জিজ্ঞেস করেন আইনজীবী অভি। তখন উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ‘আমিসহ আমাদের অনেকের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।’

এক দফা কর্মসূচির পেছনে বিদেশি কোনো শক্তি বা কারও হাত ছিল কি না—আসামিপক্ষের আইনজীবীর এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ বলেন, এক দফা কর্মসূচি ঘোষণার পেছনে কোনো বিদেশি ইন্ধন ছিল না। আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া আন্দোলনকারীরাই আন্দোলনের খরচের জন্য ফান্ড তৈরি করেছি।

সাক্ষীর উদ্দেশে আইনজীবী অভি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট চানখাঁরপুলে যেখান থেকে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল সেখান থেকে আপনার দূরত্ব কতটুকু ছিল। জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, আমি ২০০ মিটার দূরে ছিলাম। তখন আইনজীবী অভি বলেন, এত দূর থেকে তো গুলি করার দৃশ্য দেখা যায় না। আসামিপক্ষের আইনজীবীর এমন কথার জবাবে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, এটা সত্য নয়।

এদিন দুপুর সোয়া ২টার পর ট্রাইব্যুনালে পৌঁছান আসিফ মাহমুদ। এরপর ৩টার দিকে এজলাসকক্ষে আসেন তিনি। পরে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এর আগে গত ৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জবানবন্দি দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সেদিন তার জবানবন্দি শেষ না হওয়ায় আজ তিনি তার জবানবন্দি শেষ করেন।

ওই দিন ১৯ নম্বর সাক্ষী হিসেবে নিজের সাক্ষ্যে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পুরো পটভূমি তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ। একইসঙ্গে গত বছরের ৫ আগস্ট চানখাঁরপুলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো নৃশংসতার বিবরণ দেন। এমনকি ডিবি পরিচয়ে রাতের আঁধারে নিজেকে গুম করার কথাও জবানবন্দিতে পেশ করেন আসিফ। এসব ঘটনার জন্য তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সরাসরি জড়িতদের দায়ী করেছেন।

মন্তব্য করুন


Link copied