নিউজ ডেস্ক: দেড় বছর আগে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ঘোষণা দিয়েছিলেন—রাজনীতিক স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে তার বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। এরপর থেকেই দুজনকে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি। মাহি ব্যস্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর রাকিব সরকারের অবস্থানও ছিল রহস্যে ঢাকা। অবশেষে মুখ খুললেন মাহি—বললেন, রাগের মাথায় ডিভোর্সের কথা বলেছিলেন, বাস্তবে বিচ্ছেদ হয়নি।
২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। জমকালো আয়োজনের সেই বিয়ে টিকেছিল পাঁচ বছর। এরপর ২০২১ সালে রাজনীতিক রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন এই নায়িকা। তবে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি হঠাৎই তিনি জানান, রাকিবের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তখন গণমাধ্যমে মাহি বলেছিলেন, ‘আমরা দুজনই চেষ্টা করেছি। কিন্তু যখন দেখেছি কিছুতেই মিল হচ্ছে না, তখন আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিই। রাকিব ফারিশের বাবা, তাই যোগাযোগ আছে। সে একজন কেয়ারিং বাবা।’
বিচ্ছেদের খবর ছড়ানোর সময়ও রাকিবের প্রশংসা করেছিলেন মাহি। বলেছিলেন, ‘রাকিব মানুষটা অনেক ভালো, পরোপকারী। কিন্তু আমাদের চিন্তাভাবনা আলাদা।’

তবে এখন মাহির বক্তব্য একেবারে ভিন্ন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি রাগের মাথায় ডিভোর্সের কথা বলেছিলাম। আসলে আমাদের ডিভোর্স হয়নি, এখনো নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।’
তাহলে হঠাৎ পুরোনো একটি ছবি পোস্ট করে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেলো কেন? এ বিষয়ে মাহি ব্যাখ্যা দেন, “ছবিটি আমরা ভারতে তুলেছিলাম, তখন প্রকাশ করা হয়নি। এখন উইকিপিডিয়ায় ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে যে আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তাই বিষয়টি পরিষ্কার করতে ছবিটি পোস্ট করেছি। আমাদের পাসপোর্টেও লেখা আছে ‘ম্যারিড’, স্বামীর নাম রাকিব সরকার।”
তবে দেড় বছরের ব্যবধানে ডিভোর্স নিয়ে মাহির পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে বিভ্রান্ত ভক্তরাও। কেউ কেউ বলছেন, মাহি হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের কোনো বিশেষ প্রক্রিয়ার কারণে এমন কৌশল নিয়েছেন।

অন্যদিকে সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন—‘আর সিনেমা করব না’। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছেন ঢালিউডের এই আলোচিত অভিনেত্রী।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া জানিয়েছে, তারা শিগগির ‘অন্তর্যামী’ নামে নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করতে যাচ্ছে, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে মাহিয়া মাহিকে।
ব্যক্তিগত জীবনের জটিলতার মধ্যেও নতুন ছবির খবরে আবারও আলোচনায় ফিরে এসেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এই নায়িকা।