নিউজ ডেস্ক: ২০০৭ সালে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা বিয়ে করেছিলেন আহমেদ জামাল ফাহাদকে। ২০১৪ সালে তিনি কন্যাসন্তানের মা হন। ২০২২ সালে নায়িকা জানিয়েছিলেন, ফাহাদের সঙ্গে তার প্রায় আড়াই থেকে তিন বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে। অর্থাৎ ওই বছরই পূর্ণিমা তার দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানানোর পরই প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
সম্প্রতি পূর্ণিমা ও তার দ্বিতীয় স্বামী রবিনের বিচ্ছেদ হয়েছে—এমন গুজব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে সেই গুজবের জবাব দিয়েছেন পূর্ণিমা।
বুধবার বিকালে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন পূর্ণিমা। ছবিতে দেখা যায়, একটি রেস্তোরাঁয় স্বামীর হাত ধরে বসে আছেন তিনি। এ একটি ছবিই স্পষ্ট করে দিয়েছে—বিচ্ছেদের খবর পুরোপুরি মিথ্যা, এখনো একসঙ্গেই আছেন তারা।
২০২২ সালে বিয়ে করেন পূর্ণিমা ও রবিন। পেশায় তিনি বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পড়াশোনা করেছেন সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এর আগে একটি পোস্টে পূর্ণিমা লিখেছিলেন, ‘মানুষের ভিড়ে কিছু মুখ থাকে, যাদের আমরা আপন ভেবে হৃদয়ের দরজা খুলে দিই। কিন্তু সময়ের কঠিন পরীক্ষায় টের পাই—তারা আসলে সম্পর্কের আবরণে লুকিয়ে থাকা বিষধর সাপ।’
সেই পোস্টে তিনি আরও বলেছিলেন, এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়, কারণ মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ।
কাজের সূত্র ধরেই রবিনের সঙ্গে তার পরিচয়, তিন বছরের বন্ধুত্ব থেকে গড়ে ওঠে সম্পর্ক, এরপর বিয়ে। আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে এটি পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ে।
তবে কথিত আছে,পূর্ণিমা ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়ার সঙ্গে প্রথমবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।