নিউজ ডেস্ক:জুলাই আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের ওপর শেখ হাসিনা সরকারের নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন ‘‘ভুল’’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা সরকারের কিছু ভুলের কথা স্বীকার করে জয় বলেন, জাতিসংঘ প্রতিবেদনে ১৪০০জন নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে অর্ন্তবর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ৮০০জন নিহতের কথা বলেছেন।
দেশ অস্থিতিশীল হলে ইসলামপন্থীরা লাভবান হবে উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে প্রফেসর ইউনূস কারসাজিপূর্ণ নির্বাচনের পরিকল্পনা করছেন।
জয় বলেন, নির্বাচনে কোন দলকে বাদ দেওয়া হলে তা হবে একটি প্রহসনের নির্বাচন।জয় বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল থাকবে।
জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে, নির্বাচন অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে।’
জয় এর মতে, ‘এখন যা ঘটছে তা আসলে আমার মা এবং আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত রাখার একটি প্রচেষ্টা। এটি ন্যায়বিচারের ছদ্মবেশে রাজনৈতিক কারসাজি।’
জয় বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া হলে নির্বাচনের ফলাফল দেশের জনগণ মেনে নিবে না ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা স্বীকৃতি দেবে না।’
ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও তুলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দলীয় সমর্থকদের এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে রাখা হয়েছে এবং জামিনও দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে প্রায় ৫০০ আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩১ জন দলীয় কর্মী জেল হেফাজতে মারা গেছেন।
ওয়াজেদ বলেন, দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুরা এই সরকারে প্রধান লক্ষ্যবস্তু।