স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করিনি। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তফসিলের তারিখ ঘোষণা হবে তারপর আমাদের সিধান্ত জানানো হবে। তবে আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, আগামীতে আমরা যাদের সঙ্গে জোট করব তারা সরকারে গেলে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা নিয়ে কী ভাবছে? দেশের পরিবর্তনের প্রশ্নে তাদের অবস্থান কী? চাঁদাবাজ, দখলদার ও মাফিয়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান কী? এই সমস্ত বিষয় পরিষ্কার হওয়ার পরেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব, আমরা কোনো দলের সঙ্গে জোট করব কি-না।
শনিবার(৮ নভেম্বর) দুপুরে নীলফামারী সৈয়দপুর বিমানবন্দনে তিনি একথা বলেন। এসময় গণঅধিকার পরিষদের সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুর আলম ভরসা সহ উপজেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলই সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত নগরী গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় না। কারণ তারা ভোটকেন্দ্র দখল করতে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কোন দিকে পরিচালিত হবে সেই ফয়সালা হবে। তিনি বলেন, আগামীর সংসদ হবে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষ। নিম্ন কক্ষ হচ্ছে ৩০০ আসনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তি। তাদের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চ কক্ষের ১০০ প্রতিনিধি নিশ্চিত হবে। যেখানে প্রবীন-তরুণ সংমিলিতভাবে দেশের জনগণের উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে।
গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্র-তরুণদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের কথা স্মরণ করে নুর বলেন, তরুণরা ফ্যাসিবাদকে পতন ঘটিয়েছে। গত জুলাই বিপ্লব আন্দোলনে যেভাবে ছাত্র-তরুণদের পাশে সর্বস্তরের জনগণ একত্রিত হয়ে আন্দোলন করেছে, আগামীতেও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে সকলকে একইভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
নুরুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে তুলে দেওয়াই গণঅধিকার পরিষদের প্রধান অঙ্গিকার। আমরা শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। তাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা নির্বাচনে কাদের ভোট দেবেন। আপনারা যদি ভালো মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, এলাকা ভালো চলবে। দেশের ভালো হবে।
সকল ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দল যদি একত্রিত হয়ে আগামী ৫ বছর রাষ্ট্র সংস্কার বাস্তবায়নসহ দেশ পরিচালনা করে, তবে এদেশ জনতার দেশে পরিণত হবে। রাষ্ট্রের বেতন-ভাতা গ্রহণকারী কেউই যেন দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের নিকট দায়বদ্ধ থাকে এবং স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে পারে, তবেই এ রাষ্ট্র জনতার রাষ্ট্র হবে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্যই গণঅধিকার পরিষদ অঙ্গিকার নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
এরপর তিনি সড়কপথে দিনাজপুর-৫ আসনের নির্বাচনী এলাকা ফুলবাড়ী জনসভা যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।