নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরছেন। দেশে তারেক রহমানের চলাচল নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে ঢাকায় আনা হয়েছে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি।
বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দুটি বিশেষ গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। পরে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর কাস্টমস হাউস (আইসিডি) থেকে বিশেষ গাড়ি দু'টি খালাস করা হয়েছে। কমলাপুরেই গাড়ি দু'টির যাবতীয় শুল্ক ও কাগজপত্র ছাড় করানো হয়েছে। এ গাড়ি দু'টিই তারেক রহমান নির্বাচনী প্রচার ও ব্যক্তিগত চলাচলের জন্য ব্যবহার করবেন।
এছাড়া বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিদায়ের সুর বেজে উঠেছে ইংল্যান্ডে। সে লক্ষ্যে বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার নতুন কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। লন্ডনে নতুন কমিটির অভিষেক ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জনসম্মুখে শেষ ভাষণ দেবেন তারেক রহমান।
জানা গেছে, দীর্ঘ ১৭ বছর লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা তারেক রহমানের দেশে ফেরা সংক্রান্ত যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিকতার সব কাগজপত্র ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারেক রহমানের কাগজপত্র সংক্রান্ত আর কোনো আনুষ্ঠানিকতা বাকি নেই। শুধু যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট যেটা তিনি অগ্রাধিকার দেবেন সেটা নিয়েই দেশ ফিরবেন ২৫ ডিসেম্বর।
এর আগে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন’।
তিনি জানান, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার মাটিতে এসে পৌঁছাবেন। দলের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।’
তারেক রহমান ২০০৭ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তিনি ১৭ বছর সে দেশেই নির্বাসিত ছিলেন।