আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

অনুমোদন না থাকলেও পিএইচডি-এমফিল ডিগ্রি দিতে ২০৫ জনকে ভর্তি

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, দুপুর ০৩:৩৫

Advertisement Advertisement

বেরোবি প্রতিনিধি ;  রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) এমফিল, পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন না থাকলেও ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ২০৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। গবেষণার অনুমোদন নেই, বিষয়টি ১০ বছর গোপন থাকলেও ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে তা প্রকাশ্যে আসে।

পরে গত বছরের ১৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধীনে গবেষণার জন্য ভর্তির অনুমোদন মেলে। এ কারণে ভর্তি হওয়া ২০৫ জন এখন অনিশ্চয়তায় দিন গুনছেন।

বিষয়টির সুরাহা করতে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে। আগামী রবিবার এই বিষয়ে ইউজিসিতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ১০ সিন্ডিকেট সভার নবম সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ইনস্টিটিউট থেকে এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রি দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এরপর ২০১১ সালের ৩ নভেম্বর ২০তম সিন্ডিকেট সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১২ সালের ৭ মার্চ ঢাকঢোল পিটিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমফিল, পিএইচডিতে ভর্তি করানো হয়।

সূত্রটি জানায়, প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এসব ব্যাচে এমফিল, পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল গবেষক ভর্তি হন ২০৫ জন। তাদের মধ্যে ২০১১-২০১২ সেশনে ১৬ জন, ২০১৮-২০১৯ সেশনে ৩৭ জন, ২০১৯-২০২০ সেশনে ৭১ জন, ২০২০-২০২১ সেশনে ৪৪ জন, ২০২১-২০২২ সেশনে ৩৭ জন ভর্তি হন। ২০১২ থেকে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে তাদের ভর্তি করা হলেও ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধীনে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ১৬ মে।

ফলে আগের ১০ বছরে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের কোনো ডিগ্রি অর্জন করার সুযোগ থাকছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিনিয়র শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গবেষণার জন্য অনুমোদন না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়ার আমলে এই ভর্তি শুরু হয়। প্রথম কর্মকর্তা হন তার মেয়ে। পরে ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট খুলে এর অধীনে গবেষক ভর্তি করানো হয়।

জানা গেছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা পাওয়া ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গবেষণার জন্য ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষক, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

ভর্তি হওয়ায় অনেকের ছুটি শেষ হয়েছে। অনেকেই গবেষণা শেষ করতে পারেননি, গবেষণাপত্র জমা দিতে পারেননি। এমন অনেকেই আছেন যে গবেষণা শেষ করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানে বেতন ভাতা ফেরত দিতে চিঠিও পেয়েছেন।

তারা বলেন, ‘আমরা সার্কুলার দেখে ভর্তি হয়েছি। ২০১২ সালে ভর্তি হলেও অদ্যবধি কোনো সুরহা হয়নি। আমাদের অপরাধটা কোথায়? আমরা সব নিয়ম মেনে ভর্তি হয়েছিলাম। এর দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, ‘পূর্বে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের এমফিল, পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি প্রদানে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের বরাবর আবেদন করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি বিষয়টির সমাধানের জন্য। আগামী রবিবার বৈঠক রয়েছে।’

মন্তব্য করুন


Link copied