প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে নকল সার ও কীটনাশক তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৪/৫টন নকল ও ভেজাল সার জব্দ করে আগুনে পুড়ে ধ্বংস করে দিয়েছে প্রশাসন। সেই সাথে ভ্রাম্যমান আদালত ভেজাল কারবারী মালিকের ১লাখ ২০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার(২৩সেপ্টেম্বর) উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের ফায়ার সার্ভিসের পাশে চাকিরপশার পাঠক গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে বেলাল হোসেনের বাড়িতে।
দীর্ঘদিন ধরে বেলাল হোসেন(৫০) তার নিজ বাড়িতে ভেজাল সার ও কীটনাশক তৈরির কারখানা দিয়ে বিভিন্ন নামিদামী কোম্পানীর প্যাকেটে প্যাকেট জাত করে ভেজাল সার ও কীটনাশক বিভিন্ন হাট বাজারে বাজারজাত করে আসছে। ফলে কৃষকরা এসব ভেজাল সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে প্রতারনার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সোমবার(২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তির্তে উপজেলা কৃষি অফিসার সামছুন্নাহার সাথী রাজারহাট থানার পুলিশের সহযোগীতায় ভেজালও নকল সার এবং কীটনাশক কারবারী বেলাল হোসেনের বাড়িতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। ওই বাড়ি থেকে ভেজাল সার ও কীটনাশক তৈরি সরঞ্জামাদীসহ ৪/৫ টন ভেজাল ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, ডিএফপি, দস্তা, ব্রণ ও জিপসাম জব্দ করে। এছাড়া বিভিন্ন নামিদামী কোম্পানির নাম ব্যবহার করা ভেজাল ও নকল কীটনাশকও জব্দ করেন। মঙ্গলবার(২৩সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালাহ উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে পুলিশের সহযোগীয়তায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বেলাল হোসেনের ১লাখ ২০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জব্দকৃত ভেজাল সার ও কীটনাশক জনসম্মূখে আগুড়ে পুড়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ সাইফুন্নাহার সাথী এবং অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হৈমন্তী রানী।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার সামছুন্নাহার সাথী বলেন- গত রাতে(সোমবার) ভেজাল সার কারখানার খবর পেয়েই গভীর রাতে ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করি। আটক বেলার তার বাড়ির প্রতিটি ঘরের বিছানা সহ সব জায়গায় এসব ভেজাল সার ও কীটনাশক রেখেছে। শুধু ভেজালকারী নয় যারাই সার নিয়ে কৃষকের সাথে প্রতারনা করার চেষ্টা চালাবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।