আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

কুড়িগ্রামে নারী এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী লাপাত্তা

বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, দুপুর ১২:২৪

Advertisement Advertisement

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম পৌর শহরের খলিলগঞ্জ বাজারে শেফালী বেগম (৩২) নামে এক নারী এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শোয়ার ঘর থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। 

নিহত শেফালী বেগমের বাড়ি জেলার উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর মন্ডলপাড়া গ্রামে। তিনি খলিলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন জনৈক কাজলের বাড়িতে স্বামীসহ ভাড়া থাকতেন। 

তিনি শহরের ত্রিমোহণী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ‘দারিদ্র বিমোচন জনকল্যাণ প্রকল্পে’ থানা অডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী রঞ্জু সরকার একই অফিসে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।

নিহতের সহকর্মী ফিল্ডকর্মী সাথী জানান, আমি অসুস্থতার কারণে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। দুপুর ১১টা ৫৬ মিনিটে শেফালী আপার সাথে আমার মোবাইলে কথা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্বামী প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক রঞ্জু সরকার আমাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। তিনি আমাকে বাড়িতে গিয়ে থাকতে বলার পর তার সাথে আমার আর কোন যোগাযোগ হচ্ছে না। 

তিনি আরও বলেন, আমি সন্ধ্যায় শেফালী আপার বাড়ী এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। পরে বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দিলে তারা দরজা খুলে তাকে আধাবসা অবস্থায় গলায় ও জানালার গ্রিলের সাথে রশি পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পান। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিলো। স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর আসেনি। আমরা ফোন করলে প্রথমে রিসিভ করে আসতে চাইলেও এখন ফোন বন্ধ করে দিয়েছে মেয়েটির স্বামী।

বাড়ির মালিক কাজলের ছোট ভাই বাদল জানান, এই পরিবারটি গত ১৫ ডিসেম্বর বাড়ি ভাড়া নেয়। তারা দুজনে এনজিওতে চাকরি করেন। তাদের ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান নানা বাড়িতে থাকে। 

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, লাশের সুরৎহাল শেষে থানায় নেওয়া হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন


Link copied