আর্কাইভ  সোমবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ১৪ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৪ ঘণ্টা পর ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা পর ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

অরণ্যে আওয়ামী লীগ, রাস্তায় গর্ভপাতের উন্নয়ন

অরণ্যে আওয়ামী লীগ, রাস্তায় গর্ভপাতের উন্নয়ন

ফেসবুকে ‘বাংলাদেশের জার্সি আর গায়ে দেওয়া হলো না’ লিখলেন সাকিব

ফেসবুকে ‘বাংলাদেশের জার্সি আর গায়ে দেওয়া হলো না’ লিখলেন সাকিব

এশিয়া কাপ: পাকিস্তানকে হারিয়ে আবারও চ্যাম্পিয়ন ভারত

এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ভারতেরই
এশিয়া কাপ: পাকিস্তানকে হারিয়ে আবারও চ্যাম্পিয়ন ভারত

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য রিকশাচালক বাবার হুইলচেয়ারের আকুতি

সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাত ১২:০৩

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনিরাম কাজী গ্রামের মো. আলতাব হোসেন পেশায় রিকশাচালক। চৌদ্দ বছর বয়সী ছেলে মো. মনিরুজ্জামান মনির জন্ম থেকেই সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। হাঁটা-চলার ক্ষমতা নেই, বসতেও পারে না, কথা বলতেও অক্ষম। এখনো শোয়ার ঘরের মাটিতে বস্তা দিয়ে বানানো বিছানায় পড়ে থাকে সে।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট্ট টিনের ঘরে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শিশুটি বিছানায় শুয়ে আছে। অসুস্থ মা মল্লিকা বেগম একা তাকে বাইরে নিতে পারছিলেন না। শিশুটি না পারে উঠতে, না পারে বসতে। এমনকি প্রাকৃতিক কাজের চাপ হলেও বুঝিয়ে বলতে পারে না। খাওয়াতে হয় মায়ের হাতে তুলে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ওজনও বাড়ছে, ফলে তাকে একা টেনে নেওয়া এখন আরও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

আলতাব হোসেন বলেন, ছেলের জন্য ডাক্তার দেখিয়েছি। সবাই বলেছেন জন্মের সময় পুষ্টির অভাবে এমন হয়েছে। এখনো প্রতিদিন ওষুধ খাওয়াতে হয়। দুধ আর ওষুধ মিলে মাসে প্রায় ৩ হাজার টাকা লাগে। রিক্সা টেনে যা আয় করি, তা দিয়ে সংসার আর চিকিৎসার খরচ সামলানো খুব কঠিন। একটা হুইল চেয়ার হলে অনেকটা স্বস্তি মিলতো।

তিনি আরও বলেন, সমাজের বিত্তবান, জনপ্রতিনিধি সবার কাছে বহুবার আকুতি জানিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। যতদিন যাচ্ছে ওজন বাড়ছে। ওর মায়ের পক্ষে একা টেনে নেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমাদের পরিষদের পক্ষ থেকে সাহায্য করার মতো তেমন সুযোগ নেই। তারপরও খোঁজ নিচ্ছি কোনোভাবে ব্যবস্থা করা যায় কি না।

বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার বলেন, পরিষদ থেকে দেওয়ার সুযোগ নেই। সমাজসেবা অফিস কিংবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন দিলে সহযোগিতার ব্যবস্থা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবো। প্রতিবন্ধী শিশুটির জন্য যদি সমাজসেবা অধিদপ্তর বা অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে হুইলচেয়ার দেয়ার ব্যবস্থা থাকে, তবে সেটি দ্রুতই দেওয়া হবে। এজন্য অভিভাবককে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। আমরা সেটি সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

মন্তব্য করুন


Link copied