আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

"জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই" স্লোগানে স্লোগানে তিস্তা পাড়ে পদযাত্রা

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকাল ০৬:৪৫

Advertisement Advertisement

জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে লালমনিরহাটে পদযাত্রা করেছে তিস্তাপাড়ে হাজার হাজার মানুষ।

সোমবার(১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।

ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সুসজ্জিত পদযাত্রাটি লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন রোডের রেলওয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে রওনা হয়ে শহরের বিডিআর রোড, বিডিআর রেল গেট, মোগলহাট রেলগেট, পুরান বাজার, সাপটানা বাজার রোড, বাহাদুর মোড়, থানা রোড, স্বর্ণকার পট্টি, গোশালা বাজার রোড, রেলওয়ে স্টেশন রোড হয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোল চক্করে গিয়ে শেষ হয়।

তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প তিস্তা মহাপরিকল্পনা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে একটি সামাজিক আন্দোলন চলমান আছে। ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই দিন তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

পদযাত্রা শেষে সমাবেশে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব বলেন, তিস্তা অববাহিকার রংপুর অঞ্চলের মানুষের জীবন–জীবিকার মূল চালিকা শক্তি তিস্তা নদী। এক সময়ের খড়স্রোত তিস্তাকে এ অঞ্চলের জীবন রেখা বলা হতো। কিন্তু তিস্তা নদীর উজানে বাঁধ নির্মাণের কারণে তিস্তা নদী আজ শীর্ণ, স্থবির, একটি মৃতপ্রায় নদীতে পরিণত হয়েছে। বর্ষা ও খরা উভয় মৌসুমে তিস্তা এখন এ অঞ্চলের গণমানুষের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। বর্ষাকালে ভারতের বাঁধ থেকে বিনা নোটিশে পানি ছাড়ায় তিস্তার দু'কূল প্লাবিত হয়ে মানুষের ঘরবাড়ি, আবাদি ফসল মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন করে, জনজীবন বিপন্ন করে তোলে। আবার খরার মৌসুমে তিস্তার পানি প্রবাহ প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে। ফলে তিস্তা নদীর দুইপাড়ের মাইলের পর মাইল এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হয়ে চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

আসাদুল হাবিব আরও বলেন, তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। কিন্তু এই তিস্তা অববাহিকার মানুষ দীর্ঘ দিন পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চলছে রাজনৈতিক স্থবিরতা। তাই পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তিস্তা নদী অববাহিকার মানুষের দুর্বিষহ বিপন্ন অবস্থা থেকে মুক্তির দাবিতে ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা নদীর পাড়ে অবস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কর্মসুচিতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে অংশগ্রহন করে কর্মসুচি সফল করার আহবান জানান তিনি।

মন্তব্য করুন


Link copied