ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে জাতীয় নারী ফুটবলার সাগরিকার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। রাতের আধাঁরে বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ঘটনার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও চোরের সন্ধান পায়নি পুলিশ। এ নিয়ে এখনও কোনো সমাধান পায়নি সাগরিকার পরিবার।
গত ১৫ আগস্ট ভোর রাতে উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে জাতীয় নারী ফুটবলার সাগরিকার বাড়িতে ঘরের তালা ভেঙে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাণীশংকৈল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাগরিকার বাবা মো. লিটন।
সাগরিকার বাবা লিটন বলেন, সরকারি অর্থ্যায়নে নির্মিত ঘরে বাড়িতে এলে থাকেন সাগরিকা। বাকি সময় থাকে তালা দেওয়া। আর কাঁচা ঘরে থাকেন সাগরিকার বাবা-মা। ঘটনার দিন সাগরিকা ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এ কারণে পাঁকা ঘরে তালা দিয়ে কাঁচা ঘরে ছিলেন সাগরিকার বাবা-মা। রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে চোর নিয়ে যায় সাগরিকার জমানো ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, ‘সাগরিকার জমানো ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা বাড়ির পাশে এক প্রতিবেশী ধার নিয়েছিলেন। বেশ কয়েকদিন পরে ১৪ আগস্ট টাকা ফেরত দেয় ওই প্রতিবেশী। টাকা ফেরত দেওয়ার রাতেই ঘরের তালা ভেঙে সেই টাকা চুরি হয়েছে। এতদিন টাকা বাড়িতে ছিল না চোরও আসেনি। টাকা ফেরত দেওয়ার রাতেই চুরি হলো। যা বহস্যময় মনে হচ্ছে। থানায় অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ বাড়ির অবস্থা দেখে গেছে। থানায় যেতে বলেছিল কয়েকবার, গেছি, কোনো আন্তরিকতা পাইনি। এ জন্য আর কারও কাছে যাই না। বিষয়টি সেই ভাবে কাউকে জানাইনি। আমার মেয়ে পরিশ্রমের টাকা এইভাবে চুরি হবে ভাবতেও পারিনি। আমার বাড়ি থেকে শুধু টাকা নয় বরং পরিবারের উজ্জ্বল স্বপ্ন চুরি হয়েছে।’
জাতীয় নারী ফুটবলার সাগরিকার বলেন, ‘বাড়িতে ঘরের তালা ভেঙে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা চুরি হয়েছে এটা আমার জন্য লজ্জার, এ কারণে মিডিয়াতে প্রকাশ করিনি। জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেছি, তিনি থানায় অভিযোগ দিতে বলেছেন, তাও করেছি। আমার পরিশ্রমের টাকা নিয়েছে আমার কপালতো নিয়ে যায়নি। জীবনে সুস্থ থাকলে টাকা আয় করতে পারব। কিন্তু এ ঘটনার পর থেকে আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’