আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৯ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৪ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৯ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরে ভেজাল গুড় উৎপাদনের দায়ে ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা, কারখানা বন্ধ ঘোষণা

রংপুরে ভেজাল গুড় উৎপাদনের দায়ে ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা, কারখানা বন্ধ ঘোষণা

জানা গেল এইচএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ

জানা গেল এইচএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ

একদিনের ব্যবধানে ৬৯০৬ টাকা বেড়ে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস

একদিনের ব্যবধানে ৬৯০৬ টাকা বেড়ে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস

ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম তৈরিতে লাইভ টিভি ও নেক্সট টিভিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা

ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম তৈরিতে লাইভ টিভি ও নেক্সট টিভিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা

টার্গেট করে ৮ বিয়ে করেছেন সামিরা, নবম বিয়ে করতে গিয়ে যা ঘটল

শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, রাত ১২:১১

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: পেশায় এক সময় স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন সামিরা ফাতিমা। কিন্তু শিক্ষকতার চাকরি করে তার পোষাচ্ছিল না। বাড়তি আয়ের জন্য নেমে পড়েন বিয়ের নামে প্রতারণায়। এভাবে অন্তত আটজন পুরুষকে বিয়ে করেছেন। এরপর তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

সামিরার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ আসার পর অনেক দিন ধরেই তাকে নজর রাখছিল পুলিশ। এরমধ্যে নবম বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠেনি, তার আগেই পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরে পড়েন তিনি। 

গত ২৯ জুলাই ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে সামিরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সামিরা প্রেম, বিশ্বাস ও বিয়ের নাম করে প্রতারণা করে আসছেন। একের পর এক বিয়ের পর স্বামীদের থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এভাবে অন্তত ৮ জন পুরুষকে বিয়ে করেছেন। তবে প্রতিটি বিয়েই ছিল পরিকল্পিত প্রতারণার অংশ। 

শুধু তাই নয়, সামিরা আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং বিবাহিত মুসলিম পুরুষদের টার্গেট করতেন। এজন্য তিনি ঘটকালির ওয়েবসাইট আর ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মে নিজেকে ডিভোর্সি ও সন্তানের মা বলে পরিচয় দিতেন। এরপর আবেগঘন গল্প শুনিয়ে মন জয় করতেন।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, সামিরার একটি দল ছিল। মূলত তারাই পাত্র দেখতেন। যখন সম্পর্ক গাঢ় হত, তখন হতো বিয়ে। তারপরই শুরু হতো আসল খেলা। আইনি হুমকি, সামাজিক বদনামের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি। সম্প্রতি দুইজন ভুক্তভোগী পুরুষ পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাদের মধ্যে একজনের অভিযোগ, বিয়ের পর নিজের ইচ্ছায় তাকে ছেড়ে যান সামিরা। তারপর বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে ৫০ লাখ টাকা আদায় করেন। অপরজনের কাছ থেকে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। এরপরেই সামিরাকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। 
 
নাগপুর পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। সামিরার সঙ্গে আর কে কে আছে, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

মন্তব্য করুন


Link copied