আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

ডিমলায় মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন

সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২, বিকাল ০৫:৫৪

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামকে লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(৭ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা শহরের প্রধান সড়কে স্বাধীনতা স্মৃতিঅম্লান চত্বরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের ব্যানারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা, পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীসহ সহ¯্রাধিক মানুষ অংশ নেয়। 
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, গত ৩ নভেম্বর  জেলহত্যা দিবসে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনের জন্য এগিয়ে আসেন। এসময় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সায়েম সরকার তাঁকে বাধা প্রদান ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে পতাকায় হাত দিতে নিষেধ করেন। বাধা উপেক্ষা করে হাত দিতে গেলে তাঁর ওপর মারমুখি হয়ে উঠেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা। এসময় উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে নিবৃত্ত করেন। পরে শোক র‌্যালিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম অংশ নিলে পারভেজ ও সায়েম তাঁকে লাঞ্চিত করে র‌্যালি থেকে বের করে দেন।
মানববন্ধন শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সামসুল হক, সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ বারেক প্রমুখ।
শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ বলেন, তিনি (উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান) সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে দলের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মমতাজুল হকের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালান। দলীয় প্রার্থীর প্রতিন্দ্বীর হয়ে ভোট চাওয়া এবং বিভিন্ন সভায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি দলের সকলেই দেখেছেন। এমন কাজের জন্য বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা ওই অনুষ্ঠানে তাকে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়। সেখানে তিনি লাঞ্চিত হননি, রবং তার লোকজন আমাকে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে লাঞ্চিত করেছেন। 
অপরদিকে জেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধাচারণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম। 

মন্তব্য করুন


Link copied