আর্কাইভ  সোমবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৫ ● ২১ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৫
কুড়িগ্রামে নদীতে ভেসে আসছে হাজার হাজার গাছের গুড়ি

কুড়িগ্রামে নদীতে ভেসে আসছে হাজার হাজার গাছের গুড়ি

ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল-ভারতে নিহত ৬৭

ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল-ভারতে নিহত ৬৭

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

বিএনপির সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক, নির্বাচন-রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা

বিএনপির সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক, নির্বাচন-রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা

ডোমার পৌর মেয়র দানু কারাগারে

মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২, দুপুর ১০:১২

Advertisement

ডেস্ক: অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়াসহ ৫৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় নীলফামারীর ডোমার পৌরসভার মেয়র মো. মনছুরুল ইসলাম দানুর জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের জজ মাহমুদুল করীম এ আদেশ দেন।

মনছুরুল ইসলাম দানু শাওন অটো ব্রিকস লিমিটেডের এমডি এবং তিনি নীলফামারীর ডোমার পৌরসভার মেয়র। তিনি তৃতীয় বারের মতো মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন।

দুদকের আইনজীবী কামরুজ্জামান শাসন বলেন, চলতি বছর দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে ডোমার পৌরসভার মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানুসহ তিন জনের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলা করে। দুদকের করা ওই মামলায় মনছুরুল ইসলাম দানু আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, মামলার আরও দুই আসামী অগ্রণী ব্যাংক নীলফামারী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক রথীন্দ্র নাথ ও ডোমার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম আদালতে হাজির হননি।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আবু মোহাম্মদ সোয়েম বলেন, মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু উচ্চ আদালত থেকে ছয়মাসের জামিনে ছিলেন। আজ নিম্ন আদালতে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি মনছুরুল ইসলাম দানুর প্রতিষ্ঠান শাওন অটো ব্রিকস লিমিটেডের নামে ১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়। ঋণের মঞ্জুরিপত্রের শর্ত অনুযায়ী প্রথম কিস্তি বিতরণের পর ছাড়কৃত অর্থের ব্যবহারের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের নির্দেশনা থাকলেও অগ্রণী ব্যাংক নীলফামারী শাখা ও ডোমার শাখার ব্যবস্থাপক যথীন্দ্র নাথ ও শফিকুল ইসলাম তা মেনে নেননি। ঋণের ওই টাকা পরিশোধ হয়নি। এতে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুদ-আসলে ২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে।

অপরদিকে ঋণ গ্রহীতা এলসির মাধ্যমে ২০১৬ সালের ২৩ জুন থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত মালামাল আমদানি করলেও বন্দর থেকে তা খালাস করেননি। ফলে তার কাছ থেকে পোর্ট ড্যামারেজ বাবদ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৭ কোটি টাকা পাওনা হয়েছে। যেখানে শুল্ক-কর বাবদ আরও ৪ কোটি ১০ লাখ টাকা রয়েছে। সব মিলিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা পাওনা পরিশোধ না করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ রয়েছে।

এভাবে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অগ্রণী ব্যাংক নীলফামারী শাখা এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের ৫৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধন করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মন্তব্য করুন


Link copied